স্টাফ রিপোর্টার – প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সরকারি বন্ড লেনদেন চালু হওয়াকে নতুন মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন। মানুষকে বোঝাতে হবে শেয়ারে বিনিয়োগের চেয়ে বন্ডে বিনিয়োগ বেশি ঝুঁকিমুক্ত। এসব বন্ডে বিনিয়োগ করলে আসল টাকা খোয়া যাওয়ার কোনো ভয় নেই বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের বন্ড মার্কেট বিষয়ে একদিকে প্রচারের অভাব রয়েছে অন্যদিকে এ মার্কেটটার বিষয়ে অনেক বিজ্ঞ লোকও বুঝেন না। এই দুইটা বিষয়ে এখন জোর দিতে হবে। মঙ্গলবার এফবিসিসিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে ‘বন্ড মার্কেট : দ্য আল্টিমেট লং টার্ম সল্যুশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের কিছু সমস্যা আছে যেটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আরও কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, যেমন- আমাদের বন্দরে সমস্যা আছে, ট্যাক্স ভ্যাটের সমস্যা আছে, অব্কোঠামোগত সমস্যা, রেগুলেটরি সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে; এগুলো আমরা ইচ্ছা করলেই সমাধান করতে পারি। এ বিষয়ে আমাদের নজর দেওয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত- উল-ইসলাম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
সোমবার দেশের পুঁজিবাজারে প্রথমবারের মতো ২৫০টি সরকারি সিকিউরিটিজ বা ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়েছে। যার বাজার মূলধন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। শেয়ারবাজারে প্রথমবারের মতো সরকারি বন্ড লেনদেন হয়েছে। এক দিন আগেই সরকারি ২৫০টি বন্ডের পরীক্ষামূলক লেনদেন চালু করা হয়।
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫ বছর মেয়াদী দুটি বন্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ই১৫ণ০৭৩৬ বন্ডের ১০ হাজার ইউনিট লেনদেন হয়েছে। প্রতিটির দর ৭৯ টাকা ৯২ পয়সা। লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা। এই স্টক এক্সচেঞ্জে অপর বন্ডটি হলো ঞই৫ণ০১২৫। এই বন্ডটি ১ হাজার ইউনিট লেনদেন হয়েছে। প্রতিটি বন্ডের দর ছিল ১০৫ টাকা ১৯ পয়সা। লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১৯০ টাকা।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ঞই৫ণ০১২৫ বন্ডের ১ হাজার ইউনিট লেনদেন হয়েছে। প্রতিটি বন্ডের দর ছিল ১০৫ টাকা ১৯ পয়সা। লেনদেনের পরিমাণ ১ লাখ ৫ হাজার ১৯০ টাকা। মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো সিএসইতে সরকারি বন্ড লেনদেনের মধ্যে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। এ লেনদেনে লঙ্কাবাংলা সিকিউরটিজ বন্ড কিনেছে এবং বিক্রি করেছে লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স। পরবর্তীতে সিটি ব্রোকারেজের মাধ্যমে ডিএসইর বন্ডগুলো লেনদেন হয়েছে।