Search
Close this search box.

সরকারকে সরাতে রাস্তায় নামতে হবে – ফখরুল

সরকারকে সরাতে রাস্তায় নামতে হবে - ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার – রাস্তায় দাঁড়িয়ে সোচ্চার কণ্ঠে বলতে হবে (আওয়ামী লীগ সরকারকে) আমরা চাই না, মানুষ চায় না। যারা মানুষ খুন করে, গুম করে, যারা জনগণের সম্পদ লুটে নিয়ে বিদেশে পাঠায় তাদের মানুষ চায় না। এই সরকারকে যদি আমরা সরাতে না পারি এই দেশের অস্তিত্ব থাকবে না, জাতির অস্তিত্ব থাকবে না। আমাদেরও রাস্তায় নেমে আসতে হবে। বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে চলমান আন্দোলনের পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে ‘মৃত্যুকূপে ধাবমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও নিহত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

গত জুলাই থেকে জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি জেলা উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশের কর্মসূচি করে। এসব কর্মসূচি পালনকালে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিম, ছাত্র দলের নুরে আলম, নারায়নগঞ্জে যুব দলের রাজা আহমেদ শাওন, মুন্সিগঞ্জে যুব দলের শহিদুল ইসলাম শাওন পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবীদের সংগঠনের ‘জিয়া পরিষদ’ উদ্যোগে সাম্প্রতিককালে পুলিশের গুলিতে নিহত ভোলার আব্দুর রহিম, নুরে আলম, নারায়নগঞ্জের রাজা আহমেদ শাওন, মুন্সিগঞ্জের শহিদুল ইসলাম শাওনের পরিবারকে জিয়া পরিষদের আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, কিভাবে অন্যায়-অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতন হচ্ছে তা আপনারা সবাই জানেন। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন আন্দোলনকে দমন করার জন্য সরকার কিভাবে তারা ভয়ংকরভাবে কাজ করছে। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে তারা বিরোধী দলের সমাবেশকে বাধা দিচ্ছে। বাস মালিকদের দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করেছে যে সমাবেশ যেন বড় না হয়। সমাবেশ বড় না হলে তাদের (সরকার) লাভটা কি হবে? তারা বলতে পারবেন যে, বিএনপির সমাবেশ বড় হয়নি। তাতে কি হবে? মানুষের অন্তরের মধ্যে যে ক্ষোভ জমে আছে, প্রতিটি মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ বিরাজ করছে তা কি ওরা মুছে দিতে পারবে? পারবে না।

ফখরুল বলেন, আর না। এখন সময় এসে গেছে যার যা শক্তি আছে সেটি দিয়ে সমস্ত দেশের মানুষকে জাগিয়ে তোলা। আজকে জিয়া পরিষদের দায়িত্ব হবে এই গণজাগরণের কাজটি করা। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা একটা কল্যাণকর রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই। যেখানে সব মানুষের সমান অধিকার থাকবে। অধিকার পাওয়ার জন্য সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে। প্রতিটি মানুষ যাতে খেতে পায়, কাপড় পড়তে পারে, তাদের মাথার ওপর একটা ছাদ থাকে, চিকিৎসার সুযোগ পায়, শিক্ষার সুযোগ পায় সেই রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই। আমরা চাই মাথা উঁচু করার মতো একটা পরিবেশ ও সমাজ। শাওন ও নুর আলমের পরিবারের মতো যেন কাউকে কাঁদতে না হয়। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাই।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় জিয়া পরিষদের অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, নিহত শহিদুল ইসলাম শাওনের বাবা ছোয়াব আলী ভুঁইয়া বক্তব্য দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ