Search
Close this search box.

জীবনমান উন্নয়নই আ.লীগ সরকারের লক্ষ – প্রধানমন্ত্রী

জীবনমান উন্নয়নই আ.লীগ সরকারের লক্ষ - প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজারে ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ॥ ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন জানালেন প্রধানমন্ত্রী ॥ যে গ্রেনেড যুদ্ধের মাঠে ব্যবহার করা হয় সে গ্রেনেড মারা হয়েছিল আমাদের ওপর ॥ আল্লাহর রহমতে আমি সেদিন বেঁচে গিয়েছিলাম ॥ ধ্বংস করা ছাড়া এরা (বিএনপি-জামায়াত) কিছু পারে না ॥ ৭৫ এর পর এরা ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল, এরা কী দিয়েছে বাংলাদেশকে? জিয়া সরকার তো কিছুই দিতে পারেনি ॥ জামায়াত-বিএনপি মানুষ খুন, মানি লন্ডারিং, বোমাবাজি এসব দিয়েছে ॥ খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে দিয়েছে, তার কারাদণ্ড হয়েছে ॥ তারেক রহমানেরও কারাদণ্ড হয়েছে ॥

 

স্টাফ রিপোর্টার – বাংলাদেশের জীবনমান উন্নয়নই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, এক হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের ২৯ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ৫৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ৪ টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা ২০১৮ সালে ভোট দিয়েছেন নৌকা মার্কায়। আমরা এই কক্সবাজারের উন্নয়ন করেছি। পরপর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক পদ্ধতি আছে বলেই, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাচ্ছে। ২০২৩ এর পরই ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনেও আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো সরকার কক্সবাজারের উন্নয়ন করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, যে গ্রেনেড যুদ্ধের মাঠে ব্যবহার করা হয় সে গ্রেনেড মারা হয়েছিল আমাদের ওপর। আমাদের আইভি রহমানসহ অনেকে মারা গেছে। আল্লাহর রহমতে আমি সেদিন বেঁচে গিয়েছিলাম। ধ্বংস করা ছাড়া এরা (বিএনপি-জামায়াত) কিছু পারে না। ৭৫ এর পর এরা ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। এরা কী দিয়েছে বাংলাদেশকে? জিয়া সরকার তো কিছুই দিতে পারেনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত-বিএনপি এই দেশের মানুষকে কী দিয়েছে? মানুষ খুন, মানি লন্ডারিং, বোমাবাজি এসব দিয়েছে তারা দেশকে। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে দিয়েছে। তার কারাদণ্ড হয়েছে। তারেক রহমানেরও কারাদণ্ড হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, আপনারা ১৮ তে নৌকায় ভোট দিয়েছেন। আমরা ক্ষমতায় এসেছি। টানা তিনবার ক্ষমতায় রয়েছি। দেশের উন্নয়নে কাজ করেছি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভোট হবে সেবারও আমাকে ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করবেন। আপনারা নৌকায় ভোট দেবেন? আবার আসিবো ফিরে এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তীরে।

দলীয় প্রধানের আগমন উপলক্ষে পর্যটন শহর কক্সবাজারে উৎসবের আমেজে পরিণত হয়। আওয়ামী লীগের জনসভা এবং শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে বর্ণিল সাজে সেজেছে গোটা শহর। বরাবরের মতো নৌকা প্রতিকৃতির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে জনসভা মাঠে। লাল-সবুজ রঙিন নৌকায় সাজানো হয়েছে স্টেডিয়ামের পাশের জলাধার।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে শেখ কামাল স্টেডিয়ামের জনসভা মাঠে বেলা ৩টা ৫২ মিনিটে পৌছান প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়। স্থানীয় নেতারা শুরুতে বক্তব্য দেন। এর আগে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সড়কপথে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ-২০২২ উদ্বোধন করেন। এ আয়োজনে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ ২৮ দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা।

জনসভায় প্রধান অতিথি শেখ হাসিনার সঙ্গে সভায় উপস্থিত থাকেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে থাকেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলোর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন। দীর্ঘ ৫ বছর পর এই জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমনকে কেন্দ্রে করে স্টেডিয়ামে জনসমুন্দ্রে পরিণত হয়েছে সভাস্থল।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৬ মে কক্সবাজার সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় তিনি কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। তার ঘোষণা অনুযায়ী, এই জেলায় ৪০টি মেগা প্রকল্পসহ ৩ দশমিক ৫০ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ