স্টাফ রিপোর্টার – বছরের শুরুর দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের হাতে শোভা পাচ্ছে নতুন বই। দেশব্যাপী চলছে বই উৎসব। মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর বই উৎসব হয়নি। আবার হচ্ছে বই উৎসব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শনিবার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বই তুলে দেন তিনি। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসব কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এবং মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসব গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ১২ হাজার ৩০০ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। এবার কাগজ সংকটের কারণে সব বই ছাপা শেষ করা সম্ভব না হলেও প্রায় ৮০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এনসিটিবি জানিয়েছে, কাগজের মূল্য বৃদ্ধি এবং যথাসময়ে কাগজ পেতে দেরি হওয়া, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় জটিলতা কাটিয়েও বছরের শুরুতে বই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এবার ১ জানুয়ারি সারা দেশে ৪ কোটি ০৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ জন শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে ২ কোটি ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৩ জন শিক্ষার্থীকে ৯ কোটি ৬৬ লাখ ০৮ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করা হবে। এ নিয়ে ২০১০ সাল হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বমোট বিনামূল্যে বিতরণ করা পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১ কপি।
প্রায় ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থী এখন স্কুলে যায়। সরকার প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ী ও এসএসসি স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য যথাযথ মান বজায় রেখে এসব পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করেছে এবং নতুন বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থী বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক পাবেন। প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসব কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এবং মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসব গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানুয়ারির প্রথম দিনে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মাধ্যমে বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। প্রযুক্তি জ্ঞানে স্মার্ট হবে আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য করে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে। যত আন্তরিকতার সঙ্গে আজকে আমরা ছেলে-মেয়েদের তৈরি করতে পারবো, আমাদের বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের ছেলে-মেয়েরা কেন পিছিয়ে পড়ে থাকবে।