স্টাফ রিপোর্টার – হাইকোর্টে ৬ মাসের জামিন পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তাদের ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গ্রেপ্তারের ২৬ দিনের মাথায় মঙ্গলবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিচারিক আদালতে বেশ কয়েকটি আবেদন ব্যর্থ হওয়ার পর উচ্চ আদালতে গিয়ে জামিন পেলেন তারা।
রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে। হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। উচ্চ আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আবেদন করেছেন তারা। সোমবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটির শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন। নিম্ন আদালতে চার দফায় জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন ওই দুই নেতা। এর আগে, বিএনপির এই দুই নেতার জামিন আবেদন তিন বার নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। ওইদিন নয়াপল্টন কার্যালয় দলটির সিনিয়র কয়েকজন নেতাসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানিয়েছিলেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় গত ২১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন – বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ। এদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল জামিনে আছেন, তবে কয়েকজন এখনো কারাগারে।