Search
Close this search box.

বঙ্গবন্ধুকে মরণোত্তর ডিগ্রি দিতে ঢাবির বিশেষ সমাবর্তন

স্টাফ রিপোর্টার- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর ডিগ্রি প্রদানের জন্য আগামী মার্চে বিশেষ সমাবর্তন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। ২৮-৩০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠেয় ওই সমাবর্তনে বঙ্গবন্ধুকে ‘ডক্টর অব ল’ (অনারিজ কজা) ডিগ্রি দেওয়া হবে। ওই সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

ঢাবির একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে প্রথমবারের মতো একটি নীতিমালাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে চৌর্যবৃত্তির সর্বোচ্চ শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে চাকরিচ্যুতি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মু. সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালসহ বিভিন্ন অনুষদ, ইনস্টিটিউটের ডিন ও পরিচালকবৃন্দ।

সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি দিতে বিশেষ সমাবর্তনের দিন ও তারিখ ঠিক হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিজি টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস ওই সমাবর্তনে অংশ নেবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া আরও সাড়ে ৭ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

তিনি আরও জানান, ‘চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে একটি নীতিমালা তৈরি হয়েছে। কিছু প্রিন্সিপল সংশোধন সাপেক্ষে নীতিমালাটি গৃহীত হয়েছে। দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এ দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষকরা আরও দেখবেন যে কোথাও কোনো ভুলভ্রান্তি আছে কি না। কিংবা আরও কিছু সংযোজন বা বিয়োজন করা যায় কি না। এ নীতিমালা কোনো শাস্তিবিধান করার জন্য নয়, বরং চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধের জন্য।

যা রয়েছে নীতিমালায়

বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের একাডেমিক কাউন্সিলের প্রধান এজেন্ডা ছিল চৌর্যবৃত্তিবিষয়ক নীতিমালা ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্ল্যাজারিজম’ শীর্ষক নীতিমালা নিয়ে আলোচনা এবং একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন।

নীতিমালায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত প্ল্যাজারিজমের কোনো শাস্তি রাখা হয়নি। ২১-৪০ শতাংশ পর্যন্ত ‘লেভেল-১’ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি বা ক্রেডিট স্থগিত, বাতিল ও প্রত্যাহারের পাশাপাশি জরিমানার শাস্তি রাখা হয়েছে।

৪১-৬০ শতাংশ মিললে সেটি ‘লেভেল-২’ ক্যাটাগরির অপরাধ। এ ক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তি ঢাবির শিক্ষক, কর্মকর্তা কিংবা গবেষক হলে সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি বাতিলের পাশাপাশি এক ধাপ পদাবনতি ও চার বছরের জন্য পদোন্নতি বন্ধের শাস্তির মুখে পড়বেন।

আর ৬১ শতাংশের ওপরে গেলে অপরাধের মাত্রা ‘লেভেল-৩’।  এ অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে।

তবে সব ক্ষেত্রেই জরিমানা দিয়ে গবেষণা সংশোধনের সুযোগ থাকছে। একই সঙ্গে রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রকাশনা প্রত্যাহারের বিধান। এমনকি অভিযুক্তের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি বা কোর্সের সুপারভাইজার, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জার্নালের ক্ষেত্রে এডিটোরিয়াল বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে নীতিমালায়।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি নেওয়ার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নীতিমালায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ