স্টাফ রিপোর্টার – সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ মন্তব্য করেছেন, সায়েন্স ল্যাবের ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি, ফায়ার সার্ভিস কতটা জরুরি একটা সেবা। ডিওএইচএস এর মধ্যে এমন সেবা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি। সোমবার পল্লবীতে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন সেনাপ্রধান। অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণের ঘটনাটি দুর্ঘটনা। প্রাথমিকভাবে নাশকতার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। নিজেরা সচেতন হলে অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আগের তুলনায় অগ্নি নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিস আরও সক্ষমতা অর্জন করেছে।
এদিকে সায়েন্সল্যাবের ওই ভবনে বিস্ফোরকের আলামত পায়নি সেনাবাহিনী। যেই ভবনটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিস্ফোরকের আলামত পায়নি সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল। রবিবার বিকেলে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান কমান্ডিং অফিসার মেজর মো. কায়সার বারী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র দিয়ে ঘটনাস্থলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছি। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর আমরা মনে করছি, এই বিস্ফোরণটি বিস্ফোরক দ্রব্যের মাধ্যমে সংঘটিত হয়নি। যদি কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করা হতো তাহলে আমাদের যন্ত্রের মাধ্যমে সেটা বুঝতে পারতাম। তাই প্রাথমিকভাবে আমরা বলতে পারি, এখানে বিস্ফোরক দ্রব্যের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
মেজর কায়সার বারী বলেন, এখানে বারুদ বা আইইডি ব্যবহারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এটা যেকোনো ধরনের বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ জানতে আমাদের আরও তদন্ত করতে হবে। তদন্ত শেষে বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যাবে।
এর আগে, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকার শিরিন ম্যানশনের তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজনের মৃত্যু এবং প্রায় ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনীর কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (সিডিআরটি) ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের দুটি পৃথক দল।