স্টাফ রিপোর্টার – দেশব্যাপী বইছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাঁসফাঁস অবস্থা। প্রতিদিনই একের পর এক রেকর্ড গড়ছে রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা। ঢাকায় রবিবার ৫৮ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.১ ডিগ্রি। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে!
রবিবার সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও আশপাশের এলাকার তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এদিকে শনিবার ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ১৯৬৫ সালের পর সর্বোচ্চ।
১৯৭২ সালের ১৮ই রাজশাহীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে না করেছে প্রশাসন।
রোদের তাপে গলছে সড়কের পিচ। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ফরিয়াদ করছেন মানুষ। চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিসয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন জেলা প্রশাসন। আরও এক সপ্তাহ এমন তাপদাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
তাপ প্রবাহের বর্তমান পরিস্থিতি আরও তিনদিন চলবে, এরপরে তীব্রতা কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্ত বলেছে, আগামী ১৯ তারিখের পর দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া সারাদেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে ২৩ তারিখের পর। জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল পাঁচ দশকে সর্বোচ্চ। তার আগে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল, ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৯৬০ সালে ঢাকায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে রেকর্ড ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল। চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে না করেছে প্রশাসন। রোদের তাপে গলছে সড়কের পিচ। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ফরিয়াদ করছেন মানুষ। চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিসয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন জেলা প্রশাসন। আরও এক সপ্তাহ এমন তাপদাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
