স্টাফ রিপোর্টার- এ বছর প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। অনেক আগে থেকেই চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছিল আবহাওয়া অফিস। ধীরে ধীরে এ আশঙ্কা বাস্তবে রুপ নিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। এর ফলে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে ক্রমেই ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সৃষ্টিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সোমবার (৮ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবারের (৯ মে) মধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। বুধবারের মধ্যে এটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে পারে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে বাঁক নিতে পারে। এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, তীব্র গরমে হাঁসফাঁস উঠেছে জনজীবনে। সোমবার (৮ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। বৃষ্টিহীনতায় ঢাকায়ও দুঃসহ গরম। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরম বেড়ে ৬৪ জেলায়ই ছড়িয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহ। দেশের ৫ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে তীব্র হয়েছে তাপপ্রবাহ।
আগামী আরও দু’দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।