স্টাফ রিপোর্টার- দেশে নির্বাচন পরিচালনা করতে গিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত কোনো হস্তক্ষেপ পাননি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আমরা (কমিশনে) আসার পর সবার সহযোগিতায় যে কয়টা নির্বাচন করেছি, সরকারের হস্তক্ষেপ আজ অবধি পাই নাই।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সিইসি এসব কথা বলেন।
এখন সবার দৃষ্টি জাতীয় নির্বাচনের দিকে জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘পুলিশ-প্রশাসনের যে ভূমিকা এখন পর্যন্ত পেয়েছি, এ ধরনের যদি একটা নিউট্রাল (নিরপেক্ষ) অবস্থানে ওনারা থাকেন। তাহলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচনটা অনেক ভালোভাবে করা সম্ভব হবে।
ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে চেষ্টা থাকবে… নির্বাচনটা যদি প্রভাবিত হয়ে যায় ব্যাপকভাবে এবং সেই তথ্য যদি আমাদের কাছে এসে পরে মিডিয়ার মাধ্যমে…পার্সোনাল ফেসবুক নয়, জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া… এগুলোর মাধ্যমে..যে আচরণ সেটার ওপরে ভিত্তি করে কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। এটা আমরা আশ্বস্ত করতে পারি।
সাংবাদিক নীতিমালার বিধি-নিষেধ নিয়ে সাংবাদিকদের পরে চিন্তা করার পরামর্শ দিয়ে ভোট আয়োজনকারী সংস্থাটির প্রধান বলেন, ‘আমি সেদিনও বলেছি। মিডিয়ার কর্মীরা যারা যাবেন তাদের বাধা দেবেন না। স্বচ্ছতার বিষয়ে আমরা তথ্য আপনাদের কাছ থেকে পাব না। স্বচ্ছতার বিষয়ে তথ্য মিডিয়ার কাছ থেকেই পাব। স্পষ্ট করে এই কথাটা গাজীপুরে বলেছি।
সরকারের সদিচ্ছা এবং রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না বলেও জানান সিইসি।
ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুও। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আমাদের শঙ্কা আছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা হচ্ছে, কিছু কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সিইসিকে জানিয়েছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের মনে শঙ্কা আছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় কি না। তবে নির্বাচনের বিকল্প নেই। সুষ্ঠু ভোটের আশা করতে তো বাধা নেই। কমিশনের প্রতি আস্থা আছে বলেই এসব বিষয় জানাতে এসেছি।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন অভিযোগ তুলে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা দুর্ব্যবহার করেছেন। আমাদের প্রার্থী বরিশাল সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে সিইসিকে চিঠি দিয়েছেন। আমাদের প্রার্থীর অভিযোগ, এই রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকলে সুষ্ঠু ভোটের অন্তরায় হবেন। আমরাও আমাদের প্রার্থীর সঙ্গে একমত।