স্টাফ রিপোর্টার- রাষ্ট্রদূতরা শর্তসাপেক্ষে এসকর্ট সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে আগুন সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন রাষ্ট্রদূতকে বাইরে চলাফেরার সময় পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক এসকর্ট সুবিধা দেয়া হতো। কিন্তু এখন আগের পরিস্থিতি না থাকায় তাদের এসকর্ট সুবিধা তুলে নেয়া হয়েছে। তবে রাষ্ট্রদূতরা চাইলে আবারো এসকর্ট সুবিধা ফিরে পাবেন। শর্তসাপেক্ষে সবাই এসকর্ট সুবিধা ফিরে পাবেন। রাষ্ট্রদূতদের এসকর্ট সুবিধা দেয়ার জন্য আমাদের আনসার গার্ড রেজিমেন্ট সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
শনিবার (২৭ মে) দূতাবাসগুলোর চাহিদাসাপেক্ষে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো দূতাবাস যদি মনে করে তাদের এসকর্ট সুবিধা দরকার, তাহলে তারা সেখান থেকে সেই সুবিধা নিতে পারবে। একজন পুলিশ কমান্ডারের নেতৃত্বে তাদের এসকর্ট সুবিধা দেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতরা রাস্তায় চলাচলে পুলিশের যে বাড়তি এসকট সুবিধা পেতেন, ১৪ মে সরকার তা প্রত্যাহার করে নেয়। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কয়েকটি দেশের মিশনপ্রধান সড়কে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের জন্য পুলিশের বাড়তি প্রটোকল পেতেন।
পরে আরও কিছু দেশ এই সুবিধা চাওয়া শুরু করে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকায় এই প্রটোকলের আর প্রয়োজন হবে না। তবে কোনো দূতাবাস চাইলে অর্থের বিনিময়ে আনসারের প্রশিক্ষিত সদস্যদের নিতে পারবে।
১৭ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, কূটনীতিকদের আনসার বাহিনী কীভাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা (এসকট) দেবে, সেটি চূড়ান্ত হয়েছে। নোট ভার্বালের (কূটনৈতিক পত্র) মাধ্যমে দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাতে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক (অপারেশন্স) সৈয়দ ইফতেহার আলী যুগান্তরকে বলেন, আমরা এখনো ভাড়ায় বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো দূতাবাস থেকেই আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাইনি। পেলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করব। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।