স্টাফ রিপোর্টার- সিটি নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম, মাস্তানি ও পেশিশক্তির ব্যাবহার কঠোর হাতে দমন করা হবে। কেউ যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করেন, তিনি যদি চিহ্নিত হন তার প্রতি ও তিনি যার জন্য করেছেন নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
শনিবার (২৭ মে) রাতে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, গাজীপুরের পরাজিত প্রার্থীও নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। বরিশাল সিটি করপোরেশন গাজীপুরের তিনভাগের একভাগ। সিসি ক্যামেরায় ১২৬ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের ওপর বসে থাকলে হবে না। আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নাগরিকদের ভিজিলেন্সকে এক্সারসাইজ করতে হবে। কেউ কোনো অনিয়ম করলে প্রতিহত করার চেষ্টা করতে হবে এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বলতে হবে। তারা দায়িত্ব পালন না করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আচরণবিধি মানতে হবে। আমরা সবকিছু দেখবো না, দেখতে পারবোও না। তবে গণমাধ্যমকে আমরা গুরুত্ব দিই। আমাদের দিক থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না। গাজীপুরে লাখ লাখ ভোটার গার্মেন্টস শ্রমিক। তারা ইভিএমে ভোট দিয়েছেন।
রাতের আধারে টাকা দেওয়ার বিষয়ে সিইসি বলেন, রাত ২ কিংবা ৩টার সময় টাকা বিতরণকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। কালো টাকা চোখে দেখা যায় না। আমরা সব সময় এটা বের করতে পারবো না। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে সেখানে জোর করে কিছু হয় না।
নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী এবং মেয়র প্রার্থীদের নানা প্রশ্ন ও অভিযোগ শোনেন।
বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম ও বরিশাল র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান।