গণমাধ্যমের মালিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের সার্ভিস দেয়, তাদের ভালো মন্দের বিষয়টিও তো দেখতে হবে। আমরা-তো ওয়েজবোর্ড দিয়েছি, এটা কার্যকর করার দায়িত্ব মালিকদের। তিনি বলেন, বেসরকারি টেলিভিশনের মালিকদের দায়িত্ব ওয়েজবোর্ড কার্যকর করা। বেসরকারি টেলিভিশনের মালিকদের বলবো, খালি টাকা কামালে হবে না। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের সার্ভিস দেয়, তাদের সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও দেখতে হবে।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালিকদের আবার কমিটি আছে, তারা আবার সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু মেসেজ দেওয়ার আমরা দেব। এখানে মালিকদের যা করার তা করা উচিত। তিনি বলেন, আমি ৯৬ সালের সরকারে এসে আজকের টেলিভিশন রেডিও সব কিছু কিন্তু বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেই। আছে আজকে উন্মুক্ত করেছে বলেই শুধু সাংবাদিক না, শিল্পী, সাহিত্যিক, টেকনিশিয়ান, অনেকেই কাজের সুযোগ পেয়েছে।
একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। অনেকে সাহস পায়নি কোনোদিন, একটাই সরকারি টেলিভিশন, একটাই রেডিও।
তিনি বলেন, টেলিভিশন-রেডিও বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যার কারণে অনেকে কাজের সুযোগ পেয়েছে। অনেকে এটা সাহসও করেনি। আমাকেও বলেছে, আপনার বিরুদ্ধেই বলবে। আমি বলেছি, বললে বলবে। আমি খারাপ করলে বলবে।
এ সময় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, সেটাই আমরা বিবেচনায় দেখব, বিবেচনা করব। প্রতি ছয় মাস পর পর আমি কিন্তু সার্ভে করি। কারো পজিশন খারাপ হলে সরাসরি মুখের ওপর বলে দিই। আমরা প্রপার সচেতন বলে নির্বাচনে জনগণের আস্থা পাই, ভোট পাই এবং নির্বাচনে জয়ী হই।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি, যারা সংসদ সদস্য আছেন তারা কতটুকু জনগণের জন্য কাজ করেছেন, জনগণের আস্থা, বিশ্বাস কতটুকু অর্জন করেছেন, আমরা সেটাকেই বিবেচনা নিই। সেটা বিবেচনায় নিই বলে আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে পারি। আমাদের সংসদ সদস্য, মন্ত্রীরা যদি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ না করত, তাহলে বাংলাদেশের এত পরিবর্তন হতো না।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।