প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে পুরো দেশ মাতোয়ারা হয়ে আছে। পক্ষে বিপক্ষে প্রতিদিন বক্তব্য হচ্ছে। একটা ডাইমেনশনও পেয়ে গেছে। আজ শুক্রবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।সিইসি বলেন, আমাদের কিন্তু আপনাদের সহায়তা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রত্যাশিত সহযোগিতা আগের নির্বাচনে পুরোপুরি পেয়েছি। সেদিন থেকে আশ্বস্ত বোধ করছি, যদিও জাতীয় নির্বাচনের ডাইমেনশন অনেক বেশি।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে আমাদের নির্বাচনটা দেখতে আগ্রহী। ইসির দায়িত্বের একটি বিষয় হচ্ছে নির্বাচনি প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করে স্বচ্ছতা সৃষ্টি করা। স্বচ্চতা হলে অপপ্রচার ঢাকা পড়ে যায়। স্বচ্ছতা বলতে অনাচার হলেও স্বচ্ছতা এবং সদাচার হলেও স্বচ্ছতা সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে চাই এমনভাবে দায়িত্ব পালন করবে প্রজ্ঞা, শক্তি, অভিজ্ঞতা জ্ঞান দিয়ে যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। আমাদের বার্তা হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও সুশঙ্খল হতে হবে। সুশৃঙ্খল আমি করাতে পারবো না। আপনারা পারবেন।
পুলিশ সুপার ও ডিসি, তারা কিন্তু ভোটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। এতে সমন্বয় থাকতে হবে। দায়িত্ববোধ থেকে ক্ষমতা ও শক্তি দিয়ে নয়, ক্ষমতা ও শক্তি প্রয়োগ করবেন যদি প্রয়োজন হয়। তবে প্রথমে দায়িত্বটা অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন, যদি গণতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র বুঝে থাকেন। সেটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আক্ষরিক অর্থে যদি বাস্তবায়ন করতে না পারি তাহলে জাতি হিসেবে আমরা ব্যর্থ হবো।
গণতন্ত্রের চেয়ে নির্বাচনের গুরুত্ব বেশি। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের বাহন এবং প্রাণ। সেজন্য গুরুত্ব অনুধাবণ করে দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের মূল চাওয়াটা হচ্ছে ভোটাধিকার যেন ব্যহত না হয়। ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারে। এই জিনিসটা আমরা দেখতে চাই।
ভোটের দিন পুরো জাতি ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, ভেতরে সিল মারার চেষ্টা হলে কেউ না কেউ কিন্তু সেটা তুলে ফেলবেন। সেটা যখন প্রচারিত হয়ে যাবে তখন আমাদের নিরপেক্ষতাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আমাদের ব্যর্থতা, অদক্ষতা প্রতিফলিত হবে।