দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ-সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ-সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
এদিকে বিকেল ৫টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সাক্ষাৎ এটি।
এর আগে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে এমপি হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনাসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সদস্যরা।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ওই আসনের নির্বাচনের জন্য নতুন করে শিডিউল দেয়া হয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। আর সংঘর্ষের ঘটনায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল স্থগিত করে দেয়া হয়েছিল। সেই নির্বাচন এ মাসের ১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
২৯৮ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২ আসন ও জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে একটি করে আসন পেয়েছেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমও কক্সবাজারের একটি আসন থেকে জয় পেয়েছেন।
নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।