চলতি মাসের শেষের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত এর গতিবিধি ও প্রভাব সম্পর্কে এখনই কিছুই বলা যাচ্ছে না। শনিবার (১৮ মে) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির।
তিনি বলেন, সাধারণত মে ও জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে থাকে। এটা বর্ষাপূর্ব ও বর্ষা-পরবর্তী সময়ে হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আশঙ্কা করছি, ২০ তারিখের পরবর্তী সময়ে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
লঘুচাপ ঘূর্ণঝড়ে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত এর গতিবিধি ও প্রভাব সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না বলেও জানান তিনি।
তরিফুল নেওয়াজ কবির আরও বলেন, যেসব প্যারামিটারের ওপর ভিত্তি করে এর গতিবিধি ও প্রভাব পরিমাপ করা যায়, আমরা সেসব বিষয়ে নজর রাখছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য জানানো হবে।
এর আগে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন মডেল পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২১ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে।
তবে ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেটি সোজা উত্তর দিকে শক্তি বৃদ্ধি করবে। ২৪ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।