স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই সংঘর্ষে অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এই হাসপাতালে আহত হয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫৫ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে। তারা হলেন – কাজী তাসনিম (২৪), ইয়াকুব (২৪), অমি আক্তার (২৬), আমিনুর (২২), শুভ (২৫), গিয়াস উদ্দিন (২২), নাসির (২৩) ও অপি (২২)।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৪টার পর থেকে ঢাকা মেডিক্যালে আসতে থাকেন আহত শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৬টা নাগাদ ১৫৫ জন চিকিৎসা নেয়ার হিসাব পাওয়া গেছে।
সন্ধ্যায় হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন। আমাদের আন্দোলন দমন করার জন্য ছাত্রলীগ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে।
এদিকে ইডেন কলেজেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সেখানকার আহত চার শিক্ষার্থীকেও ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। বিকেল ৩টায় হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর দুপক্ষই ইট-পাটকেল লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উত্তপ্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পরে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেন। যোগ দেন ঢাকা কলেজসহ ছাত্রলীগের আরো ইউনিটের নেতাকর্মীরা।