স্টাফ রিপোর্টার: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে দেখেন, আমি অনেক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি।’
আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আসেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের পরিবারসহ আরও ৩৪টি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যরা। এসময় তাদের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা ও সঞ্চয়পত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের সদস্যদের স্বান্তনা দিয়ে বলেন, ‘ আমি আপনাদের ব্যথা বুঝতে পারছি। এটা আমার দুর্ভাগ্য যে আমাকে আপনাদের অশ্রু দেখতে হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, তাদের মতো স্বজন হারানোর বেদনা তিনিও বহন করছেন। এ সময় গণভবনে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ও মা মনোয়ারা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গতকাল রংপুর থেকে ঢাকায় এসে গণভবনে আসেন।
গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিআরইউ) দ্বাদশ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ মারা যান। এর আগে গত ২৬ জুলাই নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে সঞ্চয়পত্র ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বিআরইউআর প্রশাসন। রংপুরের পীরগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল তাঁর বাবা-মায়ের কাছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।