Search
Close this search box.

পরিবর্তন হলো শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ‍উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নাম

স্টাফ রিপোর্টার: ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ‍উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের’ নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’। সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এ সংক্রান্ত শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

তার আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাপিষ আহমেদ চৌধুরী (রুটিন দায়িত্ব) স্বাক্ষরিত অধ্যাদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করার পর ২৭ আগস্ট তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

আইনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৪ নম্বর আইনের ধারা ১-এর সংশোধন করা হয়েছে। উল্লিখিত ‘শেখ হাসিনা’ শব্দটি বিলুপ্ত হবে। আইনে অন্যান্য যেসব জায়গায় ‘শেখ হাসিনা’ শব্দটি রয়েছে সেটাও বিলুপ্ত করার কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া এই অধ্যাদেশ প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ আইনের অধীনে ইতোপূর্বে প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, ইস্যুকৃত কোনো আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি বা সম্পাদিত যেকোনো দলিলে শেখ হাসিনা শব্দ থাকলে তা বিলুপ্ত হবে।

গত ২২ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই আইনটির সংশোধনী অনুমোদন করা হয়।

সভা শেষে সাংবাদিকদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, সরকারি স্থাপনার নামকরণের ক্ষেত্রে একটি আইনি কাঠামো হবে। জনগণের অর্থ ব্যয় করে কোনো প্রকল্প হলে তার নামকরণে কী নীতি অনুসরণ করে করা হবে সেটার বিষয়ে কাজ করবে সরকার। একটা পর্যায়ে এটাকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে, যাতে জনগণের টাকায় যেটা হবে তাতে যেন জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এটা যেন এমন কোনো নামকরণ না হয়, যা ফ্যাসিবাদকে উসকে দিতে পারে।

তিনি বলেন, নামকরণের নীতিমালা হতে পারে। আইনও হতে পারে। আমাদের চিন্তাটা হচ্ছে পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নামকরণ নিয়ে যে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেটা যাতে না হয়। জনগণের অর্থের স্থাপনায় যাতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে এমন নামকরণ যেন হয়। এটা ভূতপূর্বভাবে কার্যকর হবে কি না সেটি আইনি কাঠামো করার সময় চিন্তা করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

সর্বশেষঃ