স্টাফ রিপোর্টার: সংবিধান নতুন করে লেখার চেয়ে আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করাই এই মুহূর্তে সহজ সমাধান বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন আইন বিশ্লেষকরা। তারা জানান, সংশোধনীর মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ও বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিল করার সুযোগ রয়েছে। এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য এবং ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার বেশি প্রয়োজন।
রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সংবিধান সংস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সংস্কারে কমিশন গঠন করে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে সংবিধান সংশোধন না পরিবর্তন হবে— প্রশ্নে নানা মত ব্যক্ত করেছেন আইন বিশ্লেষকরা।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাস এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। তিনি বলেন, ‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট শাসনব্যবস্থা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের প্রস্তাব সময়োপযোগী। প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ বিচারকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বিচার বিভাগের সংস্কার করতে হবে। ’
সংবিধান সংশোধন কোন প্রক্রিয়ায় হবে— এর একটি সহজ সমীকরণের কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ড. নকিব মোহাম্মদন নসরুল্লাহ। তিনি বলেন, সংবিধান পুনর্লিখনের থেকে গণতন্ত্রবিরোধী ধারা সংশোধন করা যেতে পারে। সেটি কোন উপায়ে হবে- সে বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে এটা করা সহজ হবে।
ড. নকিব বলেন, সংবিধান পুনর্লিখন একটি জটিল প্রক্রিয়া। এর জন গণপরিষদ গঠন করতে হবে। তবে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যেহেতু ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে, তাই নতুন সংবিধানে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে। ’