স্টাফ রিপোর্টার: ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন ওয়েস্ট আগামী সপ্তাহে দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর কোনো ব্রিটিশ কর্মকর্তার প্রথম সফর।
ধারণা করা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব বোঝার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার তাকে পাঠাচ্ছে।
গত জুলাইতে বৃটিশ ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এফসিও) অফিসে ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বাংলাদেশে এটাই হবে তার প্রথম সফর। কূটনৈতিক সূত্রের তথ্যমতে, ১৭-১৮ নভেম্বর ক্যাথরিন ঢাকায় অবস্থান করবেন। তার সফরে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে।
সফরের মূল এজেন্ডা এখনও চূড়ান্ত না হলেও বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস), রোহিঙ্গা ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিবাসন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ক্যাথরিন ওয়েস্টের কাজের প্রধান ক্ষেত্র ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি। তার সফরে আইপিএসে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আইপিএস ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এছাড়া গণতন্ত্র, রাজনীতি, অর্থনীতি, মৌলিক মানবাধিকারসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কোর ইস্যু এবং সম-সাময়িক বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলোও আলোচনায় আসতে পারে।
সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট এবং নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম তুলে ধরা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি সংস্কার প্রক্রিয়ায় ব্রিটেন কীভাবে যুক্ত হতে পারে, সে সম্পর্কেও বার্তা দিতে পারেন।প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারে কেবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ক্যাথরিন এলিজাবেথ ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত বৃটিশ রাজনীতিবিদ যিনি ২০১৫ সাল থেকে পার্লামেন্টে রয়েছেন। তিনি লেবার পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা। আধুনিক ভাষা এবং সমাজকর্মের ওপর উচ্চতর পড়াশোনায় পারদর্শী ক্যাথরিন ওয়েস্ট ১৯৯৮ সাল থেকে লেবার পার্টিতে সক্রিয় রয়েছেন।এর আগে চলতি বছরের মে মাসে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রিভেলিয়ান দুই দফায় ঢাকা সফর করেন।
এবার ক্যাথরিন ওয়েস্টের সফরকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ক্যাথরিন ওয়েস্ট বর্তমানে ব্রিটিশ সরকারের হয়ে চীন, উত্তর-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দীপপুঞ্জের বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করছেন।