স্টাফ রিপোর্টার- অটিজম নিয়ে অবদান রাখায় বিশেষ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা, সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চতুর্থ সমাবর্তনে তার হাতে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি তুলে দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা শারফুদ্দিন আহমেদ।রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অন্য দুই সিনিয়র অধ্যাপক- অর্থোপেডিক সার্জন অধ্যাপক কাজী শহিদুল আলম এবং ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেন।
এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সায়মা ওয়াজেদ অটিজম নিয়ে কাজ করে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে সুপরিচিত করেছেন। এ নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করছেন। এই কারণেই আমরা তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিচ্ছি।
সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ১৯৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
সায়মা ওয়াজেদ ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। তিনি ২০১১ সালে ঢাকায় অটিজম বিষয়ক প্রথম দক্ষিণ এশীয় সম্মেলন আয়োজন করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ, বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচ ও অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চতুর্থ সমাবর্তন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং ভারতের বিহারে ইউনিভার্সিটি সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাজবর্ধন আজাদ সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।