Search
Close this search box.

কাউন্সিলরের বাধায় মোহাম্মদপুরে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান পন্ড

স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের উত্তর এবং পশ্চিম দিকের ফুটপাত ও সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকান উচ্ছেদে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অভিযানে বাধা দিয়েছেন সেখানকার কাউন্সিলর। কাউন্সিলরের বাধায় শেষ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি ডিএনসিসির অভিযান পরিচালনাকারী দল।

মঙ্গলবার (২৩ মে) এ ঘটনা ঘটেছে। টাউন হল মার্কেটের উত্তর এবং পশ্চিম দিকের ফুটপাত ও সড়ক ডিএনসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আওতায় পড়েছে।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, টাউন হল বাজারে সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন পরিত্যক্ত মার্কেট অপসারণে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে আজ  পরিদর্শনে যান ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদসহ ১৫/২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। পরিত্যক্ত মার্কেটে নানা অসঙ্গতি দেখতে পান তারা। পরিদর্শন শেষে মার্কেট থেকে বের হয়ে টাউন হল মার্কেটের উত্তর এবং পশ্চিম দিকের রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ মৌসুমী ফলের দোকানসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ দোকান পরিলক্ষিত হয়। অবৈধ দোকোনের ফলে জনসাধারণ ও যান চলাচল ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।

এই অবস্থায় সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ ৯টি দোকানের মালিককে ১০ হাজার  টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়। এরমধ্যে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টু আকস্মিকভাবে ৪০/৫০ জন লোক নিয়ে হাজির হয়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু এ সময় বলেন, মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম বন্ধ করে দ্রুত এলাকা ত্যাগ না করলে আমি সকল ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে মোবাইল কোর্ট ও সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত মোহাম্মদপুর থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং একপর্যায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ বলেন, পূর্বনির্ধারিত একটা বৈঠক ছিল সেখানে। পরে পরিত্যক্ত মার্কেট পরিদর্শনে গিয়েছিলাম আমরা। আমাদের অফিসাররা ছিলেন সাথে। টাউন হল মার্কেটে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে বেশকিছু অবৈধ দোকান গড়ে উঠেছে। পরে পুলিশ ডেকে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশনের সেই অভিযানে কাউন্সিলর নিজেই সরাসরি বাধা দিয়েছেন সেখানে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ