দুর্গা পূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা, প্রতিটি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি টিভির ব্যবস্থা করাসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি রনজিৎ কুমার মৃধা, তপন হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আশীষ বাড়ই, সঞ্জয় কুমার সাহা প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর শারদীয় দুর্গা পূজা শুরু হতে যাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়কে পাঁচ দিনব্যাপী ধর্মীয় কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত থেকে ও ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই দুর্গা পূজা সম্পাদন করতে হয়। এ পূজার মূল তিনটি দিনই হলো সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী । এই উপলক্ষ্যে দিনরাত পূজার কাজে ব্যস্ত থেকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে পূজা সম্পাদন করতে হয়। কিন্তু এই পাঁচ দিনের দুর্গা পূজায় মাত্র একদিন সরকারি ছুটি। যে কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই দুর্গা পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পূজার আনন্দ ও ধর্মীয় যজ্ঞ শেষ করতে পারে না। আমরা প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পাঠিয়েছি, কিন্তু তার কোনো সদুত্তর পাইনি।
বক্তারা আরও বলেন, দুর্গা পূজা ও নির্বাচন এই দুটি বিষয় নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অতীত অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। কারণ, পূজা ও নির্বাচনে আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের স্থাপনার ওপর আঘাত করা হয়েছে। ২০২১ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা হয়েছে। তাই আমরা চাই, এবারের দুর্গা পূজায় প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে ও মণ্ডপে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ পূজা চলা সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হোক।
জোটের দাবিসমূহ হলো—
১. দুর্গা পূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করতে হবে।
২. প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি মন্দিরে পূজার ১০ দিন আগে থেকে পূজা চলা সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করা।
৩. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও এর দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
৪. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সবার জন্য সমান প্রয়োগ করা।