ঝিনাইদহের শৈলকুপায় যাত্রীবাহী রূপসা পরিবহনটি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এ সময় বাসে থাকা অর্ধশতাধিক যাত্রী নিরাপদে নামতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে মহম্মদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন – ধানমণ্ডি ৩২ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য
বাস কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, চলন্ত বাসে হঠাৎ ইঞ্জিনের ডিফেন্সার ভেঙে তেলের ট্যাঙ্কার ও ব্যাটারির সাথে ঘর্ষণে আগুনের ফুল্কি থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ওই সময় স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রূপসা পরিবহনের চালকের সহকারী মোমিনুল ইসলাম বলেন, বাসটি ভোরে খুলনা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কের শৈলকুপার মোহম্মদপুর এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই হঠাৎ ইঞ্জিনের ডিফেন্সার ভেঙে নীচে পড়ে যায়। ডিফেন্সারটি চলন্ত বাসের তেলের টেঙ্কারে ও ব্যাটারির সাথে ঘর্ষণে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশের উপ পরিদর্শক হাসান জানান, খবর পেয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং বাসে নাশকতার কোনো চিহৃ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন – ছিনতাই ঠেকাতে অস্ত্র পাচ্ছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট: ডিএমপি কমিশনার
বাসে হঠাৎ আগুন নিয়ে শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মহিউদ্দিন বলেন, যাত্রীবাহী বাসে আগুনের খবর আসে সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। এরপর তেলের আগুন ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এবং পরিবহনে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঠা ও রং ব্যবহার হওয়ায় ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পরে ফোম জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অগ্নিকাণ্ডে ১২ লাখ টাকা ক্ষতি ও ৩২ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।