২০০১ সালে বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা দেশের অর্থ পাচার করেছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের দেশ বানিয়েছিল তারা।
শনিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন ও আইনজীবী মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সারাদেশে বোমা হামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। বেঁচে গেছি, এটা ঠিক। কিন্তু তারা দেশে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের কত নেতা হত্যা করেছে। ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করে আরও ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করেছে। এই অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, সেই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে, এটাই আমার অনুরোধ। তাদের শাস্তি কেন দেরি হবে? আগে আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিল, এখন আন্দোলনের সুযোগে সামনে এসেছে। তাদের মামলায় যেন তারা সাজা পায়। এটা আপনাদের কাছে আমার দাবি।
তিনি বলেন, খুনিদের জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসিয়েছেন। সে সময় আমি দেশে ফিরে আসি। দেখি, ক্ষমতাসীনরা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে কিছু লোকের ভাগ্য উন্নয়ন করেছে, কিন্তু জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। আমি গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়াই। মানুষের কষ্ট দুর্দশা দেখি। পরে ২১ বছর পর আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করি। বিচার বিভাগের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেই।আরও দেখুন- বার কাউন্সিলের ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে জিয়াউর রহমানের সহায়তায় মোস্তাক ক্ষমতা দখল করে, টিকতে পারেনি। আসল চেহারা নিয়ে বেরিয়ে আসেন জিয়া। ক্ষমতা দখল করেন। ইনডেমনিটি জারি করে আমাদের বিচার থেকে বঞ্চিত করেন। নিজেই দল গঠন করে কারচুপি করে ২/৩ শতাংশ মেজরিটি দিয়ে সংবিধান ক্ষত-বিক্ষত করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ৬ দফা দিয়েছেন। যতবার তিনি এদেশের মানুষের জন্য কথা বলেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, বন্দি হয়েছেন, জেল খেটেছেন। সাজাও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু থেমে যাননি। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের পথচলা।