Search
Close this search box.

মতপার্থক্য থাকলেও দ্বন্দ্ব নেই বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে

স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি ‘কোন পথে হাঁটছে বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক? প্রায় আড়াই দশকের জোটের সমীকরণ চুকিয়ে টানাপোড়েন কি চলছে এখনও? ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার বিদায়ের পরি এমন আলোচনা এখন বেশ জোরেশোরেই রয়েছে রাজনীতির মাঠে। বিভিন্ন সময়ে দল দুটোর শীর্ষ নেতাদের দেয়া বিভিন্ন বক্তব্য এই আলোচনাগুলোয় আগুনে ঘি ঢালার মতই যেন উস্কে দেয়।

তবে বিভেদের সুর বাজছে, দল দুটোর নেতারা এমনটা মানতে নারাজ। তাদের মতে, বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বিমত থাকলেও দেশ বিনির্মাণে ঐক্যের  বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপির সঙ্গে দূরত্বের বিষয়ে প্রশ্নের কথা মুখে আনাই উচিত না। ফ্যাসিবাদ গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সবার মধ্যেই ঐক্য ছিল। জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যে আমাদের সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এখানে দূরত্বের কোন প্রশ্ন নেই, তবে এটি কৌশল হতে পারে।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, একসঙ্গে চলতে গেলে প্রত্যেকের চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকতেই পারে। আপনি যা চান আমি তা চাই না, এসব কারণে কিছু পার্থক্য থাকতেই পারে। সেটা জোটে থাকা অবস্থাতেও ছিল। দুটো রাজনৈতিক দলের যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত আমাদের সঙ্গে বিএনপির সে সম্পর্ক আছে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে- আগামী নির্বাচন ঘিরে কি হবে দল দুটোর মাঠের বাস্তবতা? আবারো কি হবে জোটের ভোট নাকি ২০২২ এই চুকে গেছে সবকিছু?

এমন প্রশ্নে কৌশলী উত্তর দিয়েছেন দুই দলের নেতারাই।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী সব দলের সঙ্গেই কথা বলছে। মতবিনিময়ে প্রত্যেকের মধ্যেই আন্তরিকতা এবং সহযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তফসিল ঘোষণা হলে নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে তখন অনেক মেরুকরণ হবে। তখন বোঝা যাবে কার সঙ্গে কার জোট হচ্ছে কি হচ্ছে না। তখনকার পরিস্থিতিই বলে দিবে জোট হবে কি না। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় হতে পারে যে কোনও কিছুই।

শুরুতে মতপার্থক্য থাকলেও আপাতত এক দাবিতে একমত দুই দলই। সব কথার শেষ কথা হলো, রাজনীতির মাঠে শেষ বলে কিছু নেই। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন হতে হবে দ্রুতই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

সর্বশেষঃ