তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। দেশে এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ ছিল না। ভারত মার্চ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশে দাম বেড়ে যাওয়া আমাদের সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীর অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয়। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এরই মধ্যে অভিযান শুরু করেছে। তারা জরিমানা করেছে। এতে বাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে আসলেও পুরোপুরি আসেনি। যে কোনো কিছু হলেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ার যে মানসিকতা এটির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমেও যদি রিপোর্টিং হয় তাহলে নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। তবে পেঁয়াজের দাম সহসা কমে যাবে। কারণ, এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ভোক্তাদের একটা ট্রেন্ড আছে, কোনো পণ্যের সংকট হচ্ছে এমন গুজব রটলেও সবাই গিয়ে এক কেজির জায়গায় পাঁচ কেজি কেনা শুরু করে। এতে করে ব্যবসায়ীরা আরও সুযোগ পায়। এটির ক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তবে পেঁয়াজের দাম সহসাই কমে যাবে এবং ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। এই খবরে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়তে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম। ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে পাইকারিতেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় কেজিতে ১৪০ টাকা আর খুচরায় রোববার বেশিরভাগ দোকানে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় পেঁয়াজ। কোথাও কোথাও ২৮০ টাকায় উঠে যায়।