আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। রাজপথের বিষয়ে জবাব রাজপথে দেব। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় ক্ষত সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে সফল হবার কোনো সুযোগ নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ গণতন্ত্রের বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছে। বিএনপির হুমকি-ধমকিতে কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নির্বাচনে ৪১ ভাগেরও বেশি ভোট দিয়েছে। ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। আমরা দেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ তারা কারো অগণতান্ত্রিক আহবানে সাড়া দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে থাকেনি। আওয়ামী লীগের অঙ্গীকারে জনগন সাড়া দিয়েছে।
তিনি বলেন, রাজপথের জবাব রাজপথেই দেবে আওয়ামী লীগ। অগণতান্ত্রিক আচরণ করলে সরকার বিএনপির হুমকি ধামিকতে মানুষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ৩০ জানুয়ারি ঘিরে যারা কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে নেতৃত্বের ব্যর্থতার জন্য তাদের দলীয় অফিস আগামী ৫ বছর কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। তাদের নেতাদের বাড়িঘরও কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে ভুল করেছে সেজন্য তাদের পস্তাতে হবে। বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিয়ে এ সরকারকে উৎখাত করা যাবে না।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের বিরুদ্ধে আমরা নই। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। এই শহরে অনেক সমাবেশ হয়েছে, আমরা সংঘাতে যাইনি। ২৮ অক্টোবর বিএনপি পুলিশকে উষ্কে দিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে। অপকর্ম করে সেদিন নয়া পল্টন থেকে তারা পালিয়ে যায়। অথচ তারা বলেছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। অনেক কিছু সহ্য করেছি। আক্রান্ত হলেও আক্রমণ করিনি। কোনো অপশক্তিকে দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। কোনো অপকর্মের সুযোগ নেই। কালো পতাকার নামে আবার সন্ত্রাস সহিংসতার আভাস দিচ্ছে বিএনপি। কালো জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এই কালো পতাকাবাহী অপশক্তিকে প্রতিহত করব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।