সরকার দেশে ‘জঙ্গলের শাসন’ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এ দেশে জঙ্গলের শাসন চলছে, বন-জঙ্গলের আইনে দেশ চলছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। এই বন-জঙ্গলের আইন, এই দুঃশাসন শেকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে। এ জন্য সকলকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে দলের নেতা-কর্মীদের ‘গ্রেপ্তার-নির্যাতনের’ চিত্র তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির শ্রমিক বিষয়ক সহ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খানের মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে রিজভী বলেন, ‘বর্তমানে প্রত্যেকটি কারাগার হচ্ছে শেখ হাসিনার বন্দিশালা, এখানে আইন-কানুন কোনো কিছুর দরকার নেই। তিনি যদি মনে করেন, কাউকে কারাগারে রাখতে চান সে কারাগারে থাকবে। তার শাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই, তার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কেউ উচ্চারণ করলে তাঁকে কারাগারে থাকতে হবে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আজকে ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন যে,৭ জানুয়ারির ডামি যে নির্বাচন আমরা বলি-সেই নির্বাচনে ভারত পাশে ছিল বলে অন্যান্য দেশ কারসাজি করতে পারেনি। আপনি সত্যি কথাই বলেছেন। কারণ আপনাদেরই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী (আব্দুল মোমেন) বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। স্ত্রীর আবদার, অন্যায় আবদার, বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার আবদার স্বামী কি সেটাকে প্রত্যাখ্যান করবে? স্বামীতো পাশেই থাকবে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনাদের ভাষাতেই আমি সেটি বললাম। এই আবদার তো ফেলতে পারে না।’
রিজভী বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার, জনগণের নাগরিক অধিকার, জনগণকে বন্দী করা, ভোটের আগেই ২৫ হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো; এ রকম একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে ভোটার শূন্য নির্বাচন করে ওবায়দুল কাদের আপনার এত বড় বড় কথা, এত চিৎকার প্রলাপগুলো তো মিথ্যা হয়নি সমাজে। চোরের মায়ের বড় গলা, যারা ভোট চুরি করে তারা প্রকারান্তরে যে চুরি করে সেটাই জানিয়ে দেয়। ওবায়দুল কাদের সাহেবের আজকের এই বক্তব্য এটা চুরিরই বক্তব্য।’