বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদিক প্রবেশ নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে— এমন প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বললো আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? ‘নিউজে বলছে’; সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, কোন নিউজে বলছে আপনাকে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নর কে জিজ্ঞেস করুন যে কি কারণে এইটা এই পর্যায়ে এলো? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
সাংবাদিকদের তো বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে দেয় না, তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞেস করবে কীভাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কি অবাধে ঢুকতে পারছে কেউ? কেন ঢুকবে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?
রিজার্ভ কমে ১৩ বিলিয়নে নেমে আসায় অর্থনীতিবিদরা অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয় বিলিয়ন ডলার নিয়ে আমরা স্বাধীনতার পর যাত্রা শুরু করেছি। ডলার ছিল আমাদের? বিএনপি কয় বিলিয়ন ডলার রেখে গেছে আমাদের? তিন বিলিয়ন প্লাস। তাহলে এখন ১৯-২০ বিলিয়ন ডলার আছে এটা কি কম নাকি? এখন আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে এই মুহূর্তের যে প্রবণতা। এইগুলা বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে।
দেশের উন্নয়নের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অগ্রণী ভুমিকা পালন কর উল্লেখ ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।