স্টাফ রিপোর্টার: চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা এবং ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ডাকা সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
বিবৃতিতে জামায়াত জানায়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ ও সশস্ত্র ছাত্রলীগের আক্রমণে ৭ জন শহীদ হয়েছেন। এ ছাড়া আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সোয়াতের ব্যাপক হামলায় অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সমগ্র বাংলাদেশ রক্তে রঞ্জিত। ছাত্র সমাজের শিক্ষাজীবন আজ অনিশ্চয়তার মাঝে উপনীত। ইতোমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বেশ কিছুদিন যাবত সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে দেশের ছাত্রসমাজ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষক সমাজ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, ওলামায়ে কেরামসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসমূহ ছাত্রসমাজের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির প্রতি সমর্থন এবং ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সমগ্র দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এবি পার্টি জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের যৌথ হামলায় বিগত কয়েকদিনে ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী। দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই কর্মসূচি চলাকালে শুধু হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে।