স্টাফ রিপোর্টার:আগামীতে জনগণের সমর্থন পেলে গনতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি দেশ পুনর্গঠন করতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, “স্বৈরাচার সরকারকে বিতাড়িত করার জন্য বিগত ১৭ বছর আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে, আত্মত্যাগ করতে হয়েছে৷ দীর্ঘ এই সংগ্রামে হাজার হাজার মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন। এই সংগ্রামে যেসকল রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিলো, আগামীতে সকলে মিলে একসঙ্গে দেশ পুনর্গঠন করতে চাই।”
জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, “নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য আপনারা সংগ্রাম করেছেন। জুলাই-আগস্টেই শহিদ হয়েছেন হাজারের ওপর মানুষ। স্বৈরাচার আমাদের দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারকে মেনে নেয়নি৷ সেই জন্য তারা আত্মত্যাগ করেছেন। এখন বাংলাদেশের মানুষ নতুন প্রত্যাশা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটতে হবে। আগামীতে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”
বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র থেমে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু এর প্রেতাত্মা এখনো বিচরণ করছে। লাখো জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে সরকার গঠিত হয়েছে। এই আত্মত্যাগ বৃথা হতে দেওয়া যাবে না। বর্তমান সরকারকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। গণতন্ত্রের পক্ষের দল ও মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে যেন স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র সফল না হয়।”
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই সরকারের জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা থাকবে। দেশের উন্নয়নের জন্য দরকার জনগণের সরকার। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। যেদিন বাংলাদেশ মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে সেদিন শহিদের আশা পূরণ হবে।”
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ফ্যামেলি কার্ড প্রবর্তন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি একটি কাজ করতে চাই। গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত যাব। প্রত্যেক পরিবারের জন্য আমরা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ফ্যামেলি কার্ড দিব। পরিবারের মায়ের নামে বা গৃহিণীর নামে এই কার্ড হবে। প্রত্যেক পরিবারকে এই কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য প্রদান করা হবে। এই সহযোগিতা যদি আমরা কয়েক বছর ধরে চালু রাখতে পারি তাহলে গ্রামের মানুষ ক্ষুধা মুক্ত হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। এখন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে সেই সরকার আসবে, নির্বাচন অনিবার্য। বিএনপির মাধ্যমে দেশে গনতন্ত্র আসবে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানে মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র আসবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের দীর্ঘ আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণত হয়েছে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব। এই আন্দোলনের ক্ষেত্রে প্রস্তুত করতে গত ১৭ বছর হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে। অনেকে গুম হয়েছে। সব হত্যার জন্য স্বৈরাচার খুনিদের বিচার করতে হবে।”
জেলা বিএনপি সভাপতি শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ইমরান সাহেল প্রিন্স প্রমুখ।