দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। ২৮ জানুয়ারি, মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এতে বলা হয়, অবৈধ ও অসংবিধানিক সরকারের অপশাসন-নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদ, দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূসের পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুকে বলা হয়, ১৯৭১ সালে আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বাংলাদেশ আজ ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত জনপদ। অবৈধ ও অসাংবিধানিক জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলদার, ইতিহাসের জঘন্যতম রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট ইউনূস ও তার দোসরদের সীমাহীন ধ্বংসযজ্ঞ ও তাণ্ডবে ত্রিশ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগ এবং ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি আজ প্রতিহিংসার দাবানলে দাউ দাউ করে জ্বলছে। উগ্র-জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ও তার দোসরদের হঠাও ও বাংলাদেশ বাঁচাও। দেশের গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। মানবাধিকার আজ ভূ-লুণ্ঠিত, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লুপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ বিসর্জিত। আইনের শাসন অস্তমিত। এমতাবস্থায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলুন।
– বেআইনি ও অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং প্রহসনমূলক বিচার বন্ধের দাবিতে
– হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আদিবাসী জাতি গোষ্ঠীর উপর হামলা ও হত্যাযজ্ঞ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপসনালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে
– মেটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে শিশু, ছাত্র-জনতা,পুলিশ বাহিনীর ৩ হাজারের বেশি সদস্য এবং আনসার বাহিনীর সদস্যদের হত্যাসহ সকল হত্যার বিচারের দাবিতে
– আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও দেশব্যাপী খুন-ধর্ষণ-চাঁদাবাজি-ডাকাতি-রাহাজানির প্রতিবাদে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দাবিতে
– সারা দেশে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তিদের গুম, খুন ও হত্যার প্রতিবাদে
– দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে
– ফ্যাসিস্ট ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও কর ফাঁকির মামলা প্রত্যাহার, গ্রামীণ ব্যাংককে ৫ বছরের কর অব্যাহতি প্রদান এবং ভ্যাট-ট্যাক্স বৃদ্ধি করে জনগণের উপর বোঝা চাপানোর প্রতিবাদে
– সরকারের প্রতিটি সেক্টরে লাগামহীন দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচারের প্রতিবাদে
– শেয়ারবাজারে অর্থ কেলেঙ্কারি, ব্যাংকগুলো ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংসের প্রতিবাদে
– সুফিসাধক, বাউল সঙ্গীত শিল্পী, শিল্পী,সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের উপর আক্রমণ ও শত শত বছর পুরনো মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে
– গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা বন্ধের ফলে নারী শ্রমিকসহ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ার প্রতিবাদে
– গণমামলা, নির্বিচারে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে ও রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে
– সর্বোপরি অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পদত্যাগের দাবিতে
ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৃহীত কর্মসূচিসমূহ:
১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি,বুধবার: লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি।
৬ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার : প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ
১০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার : বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ
১৬ ফেব্রুয়ারি, রবিবার: অবরোধ কর্মসূচি
১৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার: দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল।
এতে আরো বলা হয়, দেশের মানুষের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের এ সকল কর্মসূচিতে কোনো প্রকার বাধা প্রদান করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।