রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভারতের কূটনৈতিক পালাবদল, বাংলাদেশে নতুন বন্ধুর খোঁজে দিল্লি

বিএনপির দিকে ভারতের নজর! তবে কি বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে যাচ্ছে দিল্লি?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরণের পালাবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে—আর সেই বদলে ভারতের অবস্থানও কী পাল্টাচ্ছে?

দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভারত এবার বিএনপির দিকে নতুন করে তাকাচ্ছে। ভারত মনে করছে, আগামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পুনরাবির্ভাবের সম্ভাবনা কম। এমতাবস্থায়, বিএনপি এখন ভারতের কাছে “সেরা বাজি”—অর্থাৎ সম্ভাব্য সহযোগী হিসেবে বিবেচিত।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঠাঁই, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, এবং পাকিস্তান ও চীনের প্রভাব বেড়ে যাওয়া—সব মিলিয়ে দিল্লি বরাবরই এই জোটের প্রতি আস্থা রাখতে পারেনি।

কিন্তু বর্তমানে বিএনপি জামায়াত থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে, এবং নরমপন্থী নীতি গ্রহণ করছে। ভারতীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি এখন বাস্তববাদী কূটনীতি ও উন্নয়নকেন্দ্রিক রাজনীতির দিকে ঝুঁকছে।

ভারতের কূটনৈতিক নীতি এখন অনেকটাই বাস্তবতানির্ভর। তারা বলছে—বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে কোনো দলের পক্ষ নেওয়া হবে না। বরং তারা চায়, একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক।

ভারতের জন্য তিনটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ:
সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা।
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার।

যদি বিএনপি এই তিনটি বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা দেয়, তাহলে ভারত নতুন করে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী।

তবে সমস্যা একটাই—বিএনপি অনেক সময়েই ‘ভারতবিরোধী’ দল হিসেবে পরিচিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে—এই ভাবমূর্তি কাটিয়ে উঠতে পারবে কি বিএনপি?

ভারত এখনো অপেক্ষায় আছে—দেখছে বিএনপি কীভাবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে। যদি বিএনপি সঠিক কূটনৈতিক বার্তা দিতে পারে, তাহলে আগামী দিনে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ