ধর্ম ডেস্ক: মুমিন নারীর জীবনে গুণাবলি অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুণগুলো নারীর জন্য শান্তিপূর্ণ জীবন ও আখিরাতে সুখময় জান্নাতের নিশ্চয়তা প্রদান করে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, পুরুষ নারীদের অভিভাবক; আল্লাহ তাদের একের ওপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। পুরুষরা নিজেদের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করবে। সুতরাং সতীসাধ্বী স্ত্রীগণ স্বামীর প্রতি অনুগত হয়ে আল্লাহ প্রদত্ত হিফাজতে নিজেদের অধিকার সংরক্ষণ করবে।
সালিহা (সতীসাধ্বী ও দীনদার)
একজন মুমিন নারী ‘সালিহা’ হতে হবে। ইমাম ইবনে জারির তাবারি বলেন, দীনের সঠিক অনুসারী সৎকর্মশীল নারীরা। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো সালিহা নারী।’ (মুসলিম-১৪৬৭)
কানেতা (আনুগত্যশীল)
মুমিন নারী হবে ‘কানেতা’। আল্লামা কাতাদা রহ. বলেন, আল্লাহ ও স্বামীর অনুগত নারীরা। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে নারী স্বামীর প্রতি আনুগত্য করে, সে জান্নাতে প্রবেশের অধিকারী। (ইবনে হিব্বান-৪১৬৩)
স্বামীর সম্পদ ও সতীত্ব রক্ষা
একজন মমিন নারী স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার ধন-সম্পদ ও সতীত্ব রক্ষা করবে। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘উত্তম স্ত্রী সে, যার দিকে তাকালে স্বামী আনন্দিত হয় এবং যার গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।’ (বাযযার-৮৫৩৭)
দীনদারিতে সহযোগিতা
মুমিন নারী স্বামীকে দীনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সর্বোত্তম সম্পদ হলো মুমিন স্ত্রী, যে স্বামীকে ঈমানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে। (তিরমিজি-৩০৯৪)
সচ্চরিত্রা
মুমিন নারী সচ্চরিত্রা হবে; অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারিণী নয়। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তারা বিয়ের মাধ্যমে পবিত্রতাসম্পন্ন হবে। (সুরা নিসা-২৫)
পর্দা পালন
মুমিন নারী ইসলামের পর্দাবিধান যথাযথভাবে পালন করবে। আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা তোমাদের গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করো এবং প্রকাশ্যে নিজেদের সৌন্দর্য দেখাবে না। (সুরা আহজাব-৩০)
সরলমতী
একজন মুমিন নারী হবে সতীসাধ্বী ও সরলমতী। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সতীসাধ্বী নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত।’ (সুরা নুর-২৩)
এই গুণাবলীর মাধ্যমে মুমিন নারীরা নিজেদের জীবনকে আলোকিত করতে পারে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে।