ই-কোয়ালিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ঢাকার বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্রিফিং করেছে সরকার। শনিবার (১২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ঢাকার বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্রিফিং করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন। এ সময় পররাষ্ট্র ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্রিফিং শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ সরকার ই-কোয়ালিটি সেন্টার প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। ই-কোয়ালিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে হলো ডিজিটাল ডিভাইড কীভাবে কমিয়ে জিরোতে নিয়ে আসা যায়। বিশেষ করে গরীব মানুষ, পিছিয়ে পড়া মানুষেরা যেন সমানভাবে ডিজিটাল সেবা লাভ করতে পারে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব বলেন, সকলেই যেন সমানভাবে ডিজিটাল সুবিধা পায়, সেটাই লক্ষ্য। দেশের ভেতর ছাড়াও দেশের বাইরেও একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বৈশ্বিকভাবে ডিজিটাল সমতায় নিয়ে আসাই আমাদের উদ্দেশ্য। এ ক্ষেত্রে আমরা নেতৃত্ব দিতে চাই।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ই -কোয়ালিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আগামী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা তোলা হবে। আমরা ডিজিটাল সমতার বিষয়টি সেখানে উত্থাপন করবো।
ডিজিটাল সমতার ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে চান বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফিলিপাইন, ব্রুনাই, লিবিয়া, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, নেপাল, ভুটান, জাপান ও ভিয়েতনাম দূতাবাসের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন শীর্ষক একটি প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বৈশ্বিকভাবে ডিজিটাল সমতা আনাই এই প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য। নতুন এই উদ্যোগের বিষয়টি ঢাকার কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।