স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কয়েকধাপে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। আজ সোমবার গেলেন ওয়ানডে অধিনায়ক ও ওপেনার তামিম ইকবাল। সাথে থাকেন স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ, ইয়াসির আলী রাব্বি, ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সবার শেষে ৯ জুন ব্যক্তিগতভাবে ঢাকা ছাড়বেন। ১০ জুন অ্যান্টিগাতে দলের সঙ্গে যোগ দিবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
চারভাগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিন টি২০ ম্যাচের সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমভাগে সদ্য টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়া মুমিনুলের সাথে নাজমুল হোসেন শান্ত, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা ও মাহমুদুল হাসান জয় শুক্রবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন। এরপর লিটন কুমার দাস ও নুরুল হাসান সোহান যুক্তরাজ্য থেকে দলের সাথে যোগ দেন। এবার এক ভাগে তামিম, মিরাজ, রাব্বি, কোচিং স্টাফের সিডন্সসহ আরও কয়েকজন ওয়েস্ট ইন্ডিজ গেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ১৬ জুন থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে টেস্ট সিরিজ, এরপর টি২০ সিরিজ হবে। শেষে ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ জুন অ্যান্টিগায় প্রথম ও ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে। এরপর ২ জুন ডমিনিকায় প্রথম, পরের দিন ৩ জুলাই একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ও গায়ানায় ৭ জুলাই তৃতীয় ও শেষ টি২০ হবে। শেষে গায়ানায় যথাক্রমে ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথমে টেস্ট সিরিজ হবে। এজন্য টেস্ট সিরিজ নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। এ সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের নেতৃত্ব নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি ওর অধিনায়কত্বে দু’বার খেলেছি। কেননা ও এর আগে দু’বার অধিনায়ক হয়েছে। ২০১১ এর আগে এবং শেষবার যখন ছিল। এটা রকেট সাইন্স না। আমরা জানি, তার ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক খুব ভালো। আর আমি নিশ্চিত, টেস্ট দলের অধিনায়ক হওয়াটা সহজ কিছু নয়।’
‘এই ফরমেটে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসে না। আমি যখন অধিনায়ক হয়েছি, তখন বলেছি যে আমার অনেক সময় দরকার। সাকিবের ক্ষেত্রেও তাই। তাকে আপনার সময় দিতে হবে। ধৈর্যহারা হলে হবে না। এই ফরম্যাটে আমরা ভালো খেলি না। আশা করি ২-৩ বছরে টেস্টে আমরা ভালো দল হবো।’
এর আগে ২০০৯ ও ২০১৭ সালে টেস্ট অধিনায়ক হয়েছিলেন সাকিব। অধিনায়ক হিসেবে ১৪ টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই মেয়াদে। এর মধ্যে ৩টি জয় ১১টি হারের স্বাদ পেয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নেতৃত্ব পেয়েই সিরিজ জিতেছিলেন। প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয় মিলেছে। তা সাকিবের নেতৃত্বেই মিলেছে। এবারও তাই আশা করা হচ্ছে।