স্পোর্টস ডেস্ক: দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় দলের জার্সিতে তামিম ইকবালকে দেখা যাচ্ছে না। আবার কবে ফিরবেন তাও সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ক্রিকেট পাড়ায় তামিমকে নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বড় পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। শোনা যাচ্ছে নতুন কমিটিতে পরিচালক হতে পারেন দেশ সেরা এই ওপেনার।
তবে এই সব গুঞ্জনকে এক পাশে ফেলে তামিম ছুটে গেছেন ভারতে। সেখানেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চেন্নাইয়ে গড়াবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ওই ম্যাচে ধারাভাষ্য দেবেন দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান।
তামিম ২০২২ বিপিএলে প্রথমবার ধানাভাষ্য দিয়েছিলেন। এরপর গত বছর মিরপুরে বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড টেস্টে অতিথি ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিলেন প্রায় ১০ মিনিটের মতো। তবে এবারই প্রথম পুরো সিরিজে ধারাভাষ্য দিবেন তিনি।
সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবারই (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ছাড়েন তামিম। প্রথমবারের মতো চুক্তিবদ্ধ হয়ে ধারাভাষ্য দেয়ার আগে নিজের অনুভুতির কথা জানিয়েছেন দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে। ফোনালাপে তামিম জানান নতুন ভূমিকায় মাঠে নামার আগে অনলাইন কোর্সের পাশাপাশি ক্লাসও করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘কিছুটা নার্ভাস আছি, নাভার্স লাগছে। খেলার সময়টায় ম্যাচের আগে নার্ভাস থাকতাম যে, খেলা কেমন হবে, রান করতে পারব কী পারব না, কোন বোলারকে কীভাবে সামলাব, দল ভালো করতে পারবে কি না। এখন হলো, কথা কীভাবে বলব, মাঠের মুহূর্তগুলোকে ঠিকঠাক তুলে ধরতে পারব কি না, বড় কোনো ভুল করে বসি কি না।’
কোর্স করার প্রসঙ্গে দেশ এই ওপেনার বলেন, ‘এই সিরিজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর তাই অনলাইনে কোর্স করার সিদ্ধান্ত নেই। মঙ্গলবার চেন্নাইয়ে এসেও একটা ক্লাস করেছি রাতে।’
‘ধারাভাষ্য ব্যাপারটা যতটা সহজ মনে হয়, তত সহজ নয়। তাৎক্ষণিক কথা বলার ব্যাপার তো আছেই, এছাড়াও প্রযুক্তিগত অনেক ব্যাপার আছে, মাইক্রোফোনের ব্যবহার, প্রডিউসারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, এসবের সঙ্গে অভ্যস্ততার ব্যাপার আছে। আমি ধরে নিয়েছি, এসবে অভ্যস্ত হতে দুই-তিন সিরিজ অন্তত লাগবে।’ যুক্ত করেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘যাদের সঙ্গে আমি ধারাভাষ্যকক্ষে থাকব, সুনিল গাভাস্কার, রাভি শাস্ত্রী, হার্শা ভোগলে, উনারা তো ধারাভাষ্যের কিংবদন্তি। আমাদের আতহার ভাই ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজটা করছেন। দিনেশ কার্তিক, মুরালি কার্তিকরাও এখন যথেষ্ট ভালো। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব। যদি ভবিষ্যতে নিয়মিত ধারাভাষ্য দেই, তাহলে এসব আমার কাজে লাগবে।’