মিথুন আশরাফ ॥ ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় ১০ মাস সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন পেসার শহিদুল ইসলাম। আইসিসি অ্যান্টি-ডোপিং কোড লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটার শহিদুল ইসলামকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময় আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া, কোনো ধরণের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না এই ডানহাতি পেসার। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি (আইসিসি)।
শহিদুল এন্টি ডোপিং বিধির ২.১ ধারা ভেঙেছেন। ২৭ বছর বয়সী পেসারের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে চলতি বছরের ২৮ মে থেকে। অর্থাৎ আগামী বছরের ২৮ মার্চ তিনি ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। বাংলাদেশের চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট ও টি২০ দলে ছিলেন শহিদুল। কিন্তু তাকে দলের সঙ্গে পাঠানো হয়নি। তখন বলা হয়েছিল, চোটের কারণে যেতে পারছেন না এই পেসার।
ডোপিং আচরণবিধি লঙ্ঘন করা এ ২৭ বছর বয়সী পেসার বাংলাদেশের জার্সিতে একটি টি২০ খেলেছেন। সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ তে সিরিজ হারের পথে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে খেলেছিলেন শহিদুল। নেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেট। এছাড়া নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলেও ছিলেন তিনি। যদিও জায়গা হয়নি কোনো ম্যাচে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও টি২০ দলে থাকলেও সাইড স্ট্রেইনে হয়নি খেলা।
শহীদুলের মূত্রের নমুনা পরীক্ষায় ওয়াডার নিষিদ্ধ বস্তু ক্লোমিফেনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আইসিসির প্রতিযোগিতা বহির্ভূত টেস্টিং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই নমুনা দিয়েছিলেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সঙ্গে আইসিসি নিশ্চিত করেছে, ওষুধ আকারে এই নিষিদ্ধ বস্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে শরীরে প্রবেশ করান শহিদুল। সাধারণত এটা থেরাপির জন্য চিকিৎসকরা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। শহিদুলও জানিয়েছে, পারফরম্যান্স বর্ধক হিসেবে এটি ব্যবহার করেননি তিনি।