স্পোর্টস রিপোর্টার : জার্মান ফুটবল কিংবদন্তি উয়ি সিলার আর নেই। তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে এই ফুটবল গ্রেটের ৮৫ বছর বয়স হয়। তিনবার জার্মানির বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন তিনি। খবরটি জানিয়েছে তার ক্লাব হামবুর্গ।
এক টুইটে উয়ি সিলারের মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোক প্রকাশ করে হামবুর্গ, ‘উয়ি সিলারের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। হামবুর্গের ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড় ৮৫ বছর বয়সে মারা গেলেন। প্রিয় উয়ি, শান্তিতে ঘুমান।’
উয়ি সিলারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে উয়েফাও। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি নির্দেশে সিলারের প্রতি সম্মান জানিয়ে উইমেন’স ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া ম্যাচের আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পশ্চিম জার্মানির হয়ে ৪টি বিশ্বকাপ খেললেও উয়ি সিলার শিরোপার স্বাদ পাননি একবারও। জিততে পারেননি ইউরোপিয়ান কাপ (চ্যাম্পিয়নস লীগ) কিংবা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও (ইউরো)। তবুও উয়ি সিলার জার্মানির ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত। ব্যক্তি অর্জনে উজ্জ্বল ছিলেন উয়ি। পশ্চিম জার্মানিকে ৪০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়া এই স্ট্রাইকার জাতীয় দলের হয়ে ৭২ ম্যাচে ৪৩ গোল করেন।
তিনবার জার্মানির বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন। ১৯৬০ ব্যালন ডি’অরের সেরা তিনেও ছিলেন তিনি। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে জার্মানির অধিনায়কত্ব করা সিলার ক্লাব ফুটবলে হামবুর্গেই কাটিয়েছেন গোটা ক্যারিয়ার। ১৯৫৪ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ক্লাবটিতে অভিষেক হয় সিলারের। সেখানে খেলেন ১৯৭২ সাল পর্যন্ত। হামবুর্গের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা উয়ি সিলারের গোল সংখ্যা ৫৮০ ম্যাচে ৪৯০টি। ২০০৩ সালে সিলারকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয় হামবুর্গ। হামবুর্গ মিউনিসিপ্যালিটি সিলারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে, ‘উয়ি সিলারের জন্য শোকাহত হামবুর্গ। বুন্দেসলিগায় তিনিই প্রথম সর্বোচ্চ গোলদাতা। প্রিয়জনদের ছেড়ে প্রস্থান করলেন তিনি।’