স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চুক্তি ভঙ্গ করেছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক ও বেসরকারি যমুনা ব্যাংক। বেআইনিভাবে ব্র্যান্ড ইমেজ ও ছবি ব্যবহার করেছে। এসব অভিযোগে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক ও বেসরকারি যমুনা ব্যাংককে ৫ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
রবিবার সাকিবের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথসহ বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সম্বলিত ছবি প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, সাকিব আল হাসানের বিখ্যাত ব্র্যান্ড ইমেজটি নিজেদের ব্যবসায়িক কাজে সীমিত ব্যবহারের জন্য বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি চুক্তি হয় ক্রিকেটারের। শর্ত অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়, কিন্তু এরপরও প্রতিষ্ঠানটি সাকিবের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সম্বলিত ছবি ব্যবহার করায় এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সাকিবের বিজ্ঞাপন সংস্থার এজেন্ট নাফিস মোমিন বলেছেন, ‘হ্যাঁ, বাংলালিংক এবং যমুনা ব্যাংককে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ইমেজ ব্যবহার করেছে। তাও আবার কোনো অনুমতি ছাড়া এবং চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও।’ সাথে যোগ করেন, ‘২০১৬ সালের এপ্রিলে বাংলালিংকের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছিল। দুই বছরের চুক্তি ছিল। সেটা ২০১৬ সালের এপ্রিলে শেষ হয়েছিল। এরপর কোনো টেলিকমের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না বলে বিসিবি একটা আদেশ দিয়েছিল। মোট ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।’
স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৪ সালে বাংলালিংকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হন সাকিব। তাদের দুজনের একাধিক বিজ্ঞাপন টিভির পর্দায় দেখা যায়। বাংলালিংক ব্যবসায়িক মুনাফার উদ্দেশ্যে বিনা অনুমতিতে বেআইনিভাবে সাকিবের ছবি, ইমেজ ও বিজ্ঞাপন এখনো ব্যবহার করছে যমুনা ব্যাংকের সঙ্গে। সাকিবের বিজ্ঞাপনী সংস্থা যমুনা ব্যাংকের বুথে বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন শনাক্ত করে। চুক্তি শেষ হওয়ার পর সাকিবের ছবি, ইমেজ বা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার অনুমতি নেই। সেই চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।