Search
Close this search box.

মেসি না এমবাপ্পে, গোল্ডেন বুট কার?

মেসি না এমবাপ্পে, গোল্ডেন বুট কার?

মিথুন আশরাফ – আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ও তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি ৫ গোল করেছেন। কাতার ফুটবল বিশ^কাপে ফাইনালের আগে ফ্রান্স তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পেও ৫ গোল করেছেন। রবিবার আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স ফাইনালে লড়াই করবে। তাতে করে মেসি ও এমবাপ্পের মধ্যেও গোল বাড়িয়ে নেয়ার লড়াই হবে। যে গোল বাড়িয়ে নিতে পারবে, তিনিই ‘গোল্ডেন বুট’ জিতবেন। এ দুই তারকা ফুটবলারের মধ্যেই শেষপর্যন্ত গোল্ডেন বুট জয় নিয়ে লড়াই হবে।
তবে গোল যদি শেষপর্যন্ত সমান থাকে, তাহলে কী হবে? তখন দুইজনের মধ্যে কে বেশি গোল করিয়েছেন, তা সামনে তুলে ধরা হবে। যে বেশি গোল করিয়েছেন, তিনিই জিতবেন গোল্ডেন বুট। এই তালিকায় মেসি আবার এগিয়ে আছেন। মেসি তিনটি গোল করিয়েছেন। আর এমবাপ্পে করিয়েছেন দুটি গোল। যদি আর কোন গোল মেসি ও এমবাপ্পে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দিতে না পারেন, গোলও করাতে না পারেন, তাহলে মেসিই ‘গোল্ডেন বুট’ জিতবেন।

অবশ্য শুধু মেসি ও এমবাপ্পেকে নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। আরও কয়েকজন ফুটবলারও কিন্তু এই তালিকায় ঢুকে যেতে পারেন। আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স ফাইনাল খেলার আগে তৃতীয় হওয়ার দৌড়ে আজ মাঠে নামবে ক্রোয়েশিয়া-মরক্কো। অর্থাৎ, বিশ্বকাপে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি। খেলা বাকি চার দলের।

মেসি ও এমবাপ্পে ছাড়াও সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইয়ে উঠে আসছে আরও কিছু নাম। যদি দুই বা তার বেশি ফুটবলারের গোলসংখ্যা সর্বোচ্চ হয়, সেক্ষেত্রে ফিফার নিয়ম অন্য। তখন গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে দেখা হয় কার কয়টি অ্যাসিস্ট। অর্থাৎ কে কয়টি গোল করাতে সাহায্য করেছেন। সেটিও সমান হলে দেখা হয়, কে কত কম মিনিট মাঠে ছিলেন।

রবিবারের ফাইনালই হবে দেশের হয়ে তার মেসির শেষ বিশ্বকাপ। বিশ্বমঞ্চে আর নীল-সাদা জার্সিতে তার জাদু দেখা যাবে না। এই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে এখন পর্যন্ত তিনিই সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। গোল্ডেন বুটের দৌড়ে দ্বিতীয় এমবাপ্পে। মেসির সঙ্গে তার গোলসংখ্যা সমান। তিনিও পাঁচটি গোল করেছেন। তবে গোলের ঠিকানা লেখা পাস দেয়ায় খানিক পিছিয়ে ফ্রান্সের এই স্ট্রাইকার। তার পাস থেকে এখন পর্যন্ত দুটি গোল হয়েছে। সেমিফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে ফ্রান্স যে দুটি গোল করেছে, দুটিতেই ছিল এমবাপ্পের ছোঁয়া।

মেসি ও এমবাপ্পের পর গোল্ডেন বুটের দৌড়ে উঠে এসেছে আরও এক আর্জেন্টাইন তারকার নাম। তিনি জুলিয়ান আলভারেজ। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পর পর দুটি গোল করেছেন এ তরুণ। মোট চারটি গোল রয়েছে তার। আলভারেজের নামের পাশে অবশ্য কোনো ‘অ্যাসিস্ট’ নেই। অর্থাৎ বিশ্বকাপে এখনো তার দেয়া পাস থেকে কোনো গোল হয়নি। মোট ৩৬৪ মিনিট খেলেছেন আলভারেজ। তার সেমিফাইনালের ফর্ম ফাইনালেও দেখতে চাইছেন অনুরাগীরা।
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে রয়েছেন ফ্রান্সের আরও এক তারকা ফুটবলার। আলভারেজের মতো অলিভিয়ের জিরুও এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে মোট চারটি গোল করেছেন। খেলেছেন মোট ৩৮৩ মিনিট। তার নামের পাশেও কোনো গোলের পাস নেই। ফাইনালের আগে সোনার বুটের দৌড়ে যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আলভারেজ ও জিরু।

বিশ্বকাপের ফাইনালে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। দুই দলই দুবার করে বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখেছে। ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতেছে ১৯৯৮ এবং ২০১৮ সালে। আর্জেন্টিনা শেষবার বিশ্বকাপ পেয়েছিল ১৯৮৬ সালে।
জীবনের শেষ বিশ্বকাপে দেশের ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ খরা কী কাটাতে পারবেন মেসি? নাকি ফাইনালে শেষ হাসি হাসবেন তার চেয়ে ১২ বছরের ছোট ক্লাব সতীর্থ এমবাপ্পে? গোল্ডেন বুটও কী মেসির হাতে উঠবে? নাকি এমবাপ্পে এই পুরস্কারও নিয়ে যাবেন? শেষ পর্যন্ত যার হাতেই উঠুক, ফাইনালে এই দুই সেরার লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছে ফুটবল বিশ্ব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ