স্পোর্টস রিপোর্টার – পদত্যাগ করেছেন তামিম-সাকিবদের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরই পদত্যাগ করেছে ডোমিঙ্গো। আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলের দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও কোচ হিসেবে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে তিনি বিসিবি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। রবিবার মিরপুর টেস্ট শেষ হওয়ার পরপরই বড়দিনের ছুটি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা চলে যান ডোমিঙ্গো। সেখান থেকে মঙ্গলবার পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আগেই এমনটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। হলোও তাই। ভারতের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট শেষ হওয়ার দিনই বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে পরিবর্তন আসতে পারে।
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জেরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে স্টিভ রোডসকে ছাঁটাই করে ডোমিঙ্গোকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিসিবি। তার অধীনে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো টেস্ট জেতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে, দক্ষিণ আফ্রিকায় জেতে ওয়ানডে সিরিজ।
টি-২০ বিশ্বকাপের আগে রাসেল ডোমিঙ্গোর জায়গায় টি-২০ দলের দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতের শ্রীধরন শ্রীরামকে। মনে করা হচ্ছে, শ্রীরামই হয়ত বাংলাদেশের কোচ হবেন। তবে সাবেক বাংলাদেশ কোচ চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহেও লাইনে আছেন। তিনিও কোচ হয়ে যেতে পারেন। হাতুরাসিংহের অধীনে বাংলাদেশ অনেক সাফল্য পায়। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে (২০১৭) খেলা, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে (২০১৫) খেলার সাফল্য আসে। তার অধীনেই ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়, পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হন চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে। ২০১৭ সালে দায়িত্ব ছাড়েন। হয়ত শেষপর্যন্ত তিনিই হতে পারেন কোচ।