স্পোর্টস রিপোর্টার – সাদা পোষাকে প্রথম বারের মতো নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন লিটন কুমার দাস। দেশের হয়ে ৩৮টি টেস্ট খেললেও এবারই প্রথম নেতৃত্ব দেবেন। বুধবার শুরু হতে যাওয়া ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে নেতৃত্ব দিবেন তিনি। এ ফরম্যাটে সাকিব আল হাসানের ডেপুটি থাকায় অধিনায়কত্বের আলাদা চাপ অনুভব করছেন না লিটন। সিরিজে ভারপ্রাপ্ত এ অধিনায়কের লক্ষ্য জয়।
সফররত আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (১৪ জুন) থেকে শুরু হবে সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি। তার আগে সোমবার (১২ জুন) সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত দলনেতা লিটন দাস।
২০১৫ সালের জুনে ফতুল্লায় ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব পাওয়ার অনুভূতি নিয়ে লিটন দাস বলেন, বিশেষ কিছু না। এটা তো অবশ্য একটা ভালো লাগার ব্যাপার কাজ করে। টেস্ট ক্রিকেটকে সবাই প্রধান্য দেয়। টেস্ট ক্রিকেটার হওয়াটাই অনেক বড় বিষয়। তার মধ্যে দেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করা -এটা তো অবশ্যই গর্বের বিষয়।
বিশেষ কোন অনুভূতির বিষয়ে তিনি বলেন, এভাবে কখনো চিন্তা করা হয়নি আসলে। দেখা যাক টস করতে গেলে অনুভূতিটা যদি ওভাবে আসে তাহলে আসতেই পারে।
সাকিব আল হাসানের ইনজুরির তথ্য প্রকাশের পর আলোচনা চলছিল কে হতে পারেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। একই সাথে গুঞ্জন ছিল যে, সহ-অধিনায়ক হলেও লিটন দাস নেতৃত্ব নিতে চাচ্ছেন না। তবে লিটন দাস জানালেন তেমন কোন কথা হয়নি। একই সাথে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নেতৃত্ব নিয়ে কোন প্রকার চিন্তিও নয় তিনি।
লিটন বলেন, এ রকম কোনো কিছুই ছিল না। আপন যদি ভাইস ক্যাপ্টেনসি করবেন…। এমনও হয়েছে যে, সাকিব ভাই মাঠের বাইরে গেছেন, তখন আমাকে ১-২ ওভার হলেও অধিনায়কত্ব করতে হয়েছে। এটা নিয়ে তাই চিন্তা হয়নি।
বাংলাদেশ দলে নিয়মিত অধিনায়ক ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান যেমন নেই, তেমনি আফগানিস্তানের হয়েও এ সফরে আসেননি দেশটির তারকা ক্রিকেটার রশিদ খান। তবে রশিদ খানের আসা না আসা নিয়ে আলাদা কোন ভাবনা নেই বলে জানান টাইগার অধিনায়ক।
লিটন দাস বলেন, রশিদ (রশিদ খান) থাকলেও যেভাবে সিরিয়াসভাবে নিতাম, না থাকায়ও আমরা ওই ওয়েতে এগোব। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদেরও বিরতি পড়েছে। সর্বশেষ আমরা এপ্রিলে খেলেছি। তারপর একটা সাদা বলের সংস্করণ খেলেছি আমরা। আমার মনে হয় তাদের চেয়ে আমরা একদিক দিয়ে ভালো, আমরা অনেক দিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি।
দলের অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ম্যাচুরিটি লেভেলও বেশি, কারণ আমরা ক্রিকেটাররা অনেক টেস্ট ক্রিকেট খেলি এখন। তারপরও দিন শেষে আপনি যখন মাঠে ভালো ক্রিকেট খেলবেন না তখন এটা নেতিবাচকভাবে কাজ করবে।
আফগানিস্তান দলে বেশ কয়েকজন নতুন ক্রিকেটার রয়েছে। যাদের বিপক্ষে কখনো খেলা হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। লিটন বলেন, অবশ্যই তাদের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে আমাদের ধারণা কম। কারণ, তারা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বেশি খেলেছে। এটা দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট বিচার করাটাও কঠিন। আমাদের মাথায় একটা পরিকল্পনা আছে, সেটা যদি আমরা এক্সকিউট করতে পারি অবশ্যই ভালো কিছু হবে।
টেস্টের রেজাল্ট নিয়ে লিটন দাস বলেন, কেউ হারার জন্য মাঠে নামে না। আমরাও নামবো না। এতদিন ধরে খেলছি, দলের সবাই কঠোর অনুশীলন করছে কেউ হেরে যাওয়ার জন্য না। আমরা সব ম্যাচেই জেতার জন্য মাঠে নামি। এটাও তার ব্যতিক্রম নয়।