গত কয়েক মাসে নিজের ওপর বয়ে যাওয়া ঝড়ের কথা জানালেন তামিম ইকবাল। তিনি বললেন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাও। শেষে এসে বললেন ‘আমাকে মনে রাখিয়েন, ভুলে যাইয়েন না। ’ তাতে হয়তো অভিমানই মিশে থাকলো তার।
জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। এরপর ফিরে এসে দুই মাস ‘ভীষণ কষ্ট’ করেছেন তামিম। তবুও তার জায়গা হয়নি বিশ্বকাপে। তাকে না রাখার কারণ হিসেবে জানানো হয় ইনজুরি কথা। যদিও তামিম অস্বীকার করেছেন সেটি। তাকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে না খেলা ও পরে নিচের দিকে ব্যাটিং দেওয়ার প্রস্তাবে এক বোর্ড কর্মকর্তার সঙ্গে উত্তেজিত হয়েছেন বলে জানান তামিম।
তার ঘটনার বর্ণনা ছিল এমন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিজিওর রিপোর্টে কী ছিল। যদি কেউ আমাকে চ্যালেঞ্জ করতে চান যেকোনো পাব্লিক ফোরামে আপনাকে স্বাগত। ওখানে কন্ডিশনটা বলা হয়েছিল, প্রথম ম্যাচের পর সে এরকম ব্যথা হয়েছে, দ্বিতীয়টির পর এরকম। আজকের দিনের পর ও ২৬ তারিখের জন্য তৈরি। কিন্তু মেডিকেল টিম মনে করে যদি আমি বিশ্রাম নেই এবং দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলি আমি সুস্থ থাকবো। আমার হাতে যথেষ্ট সময় থাকবে। এই সময়ে আমার দুই সপ্তাহের রিহ্যাব হবে, সবমিলিয়ে দশ সপ্তাহের রিহ্যাব হবে। আমি প্রথম ম্যাচ খেলার জন্য ভালো অবস্থায় থাকবো। এটা ছিল ফিজিওর রিপোর্ট। কোনো জায়গায় কোথাও বলা হয়নি পাঁচ ম্যাচ, দুই ম্যাচ বা ইনজুরি খেলতে পারবো না, এগুলো বলা হয়নি। আমার শরীরে ব্যথা ছিল এটা আমি অস্বীকার করবো না। ’
‘তারপরে যে ঘটনাটা ঘটে। মিডিয়াতে যেটা বেশি আসতেছে, ইনজুরি বা পাঁচ ম্যাচ এই-সেই। আমার কাছে মনে হয় না আমি বিশ্বকাপে না যাওয়ার পেছনে এটার কোনো বড় অবদান ছিল। কারণ যেহেতু আমি ইনজুরড হইনি এখনও। তার এক-দুদিন পর বোর্ডের টপ লেভেল থেকে ফোন দেয়। উনি বেশ জড়িত আমাদের ক্রিকেটের সঙ্গে। উনি আমাকে ফোন করে হঠাৎ বললেন তুমি তো বিশ্বকাপে যাবা, তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলতে হবে তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না আফগানিস্তানের সঙ্গে। আমি বললাম ভাই এখনও ১২-১৩ দিনের কথা। ততদিনে তো আমি ভালো অবস্থায় থাকবো। তখন বললো তুমি যদি খেলো তোমাকে আমরা নিচে ব্যাটিং করাবো। ’
‘স্বাভাবিকভাবে আপনাদের মনে রাখতে হবে আমি কোন মাইন্ডসেট থেকে এসেছি। হঠাৎ করে একটা ভালো ইনিংস খেলেছি, আমি খুশি ছিলাম। হঠাৎ করে আবার এসব ধরনের কথা আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব না। ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাটিং করেছি। আমি জীবনে কোনোদিন ৩-৪ এ ব্যাটিংই করিনি। যদি এমন হতো আমি উপরে বা নিচে ব্যাট করি, তাহলে সেটা মানিয়ে নেওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই আমি কথাটা ভালোভাবে নেইনি। আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি জিনিসটা পছন্দ করিনি। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমাকে জোর করে করে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। ’
‘তখন আমি বলেছি তাহলে আপনারা একটা কাজ করেন, যদি এমন চিন্তা করেন, তাহলে আমাকে পাঠায়েন না। আমি নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। তারপর ওই ব্যক্তির সঙ্গে আমার ফোনে অনেক কথা হয়। যেটা আমার কাছে মনে হয় না এই প্ল্যাটফর্মে বলা উচিত। এটা আমার আর উনার মধ্যে থাকুক। আমি বলেছি আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। ’