পেটের মেদ কমানো মূল লক্ষ্য হয়ে থাকলে খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চায় পরিবর্তন আনা এবং তাতে স্থির থাকা আবশ্যক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেলার খাবারে সবজি যোগ করা এক্ষেত্রে বেশ উপকারী।
খাবারে বেশি আঁশ ও প্রোটিন যোগ করা, ট্রান্সফ্যাট এবং বাড়তি চিনির ব্যবহার কমিয়ে এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে মেদ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, অন্যান্য মূল্যবান পুষ্টি এবং খনিজ উপাদান রয়েছে, যা খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা উপকারী।
‘গো ওয়েলনেস’ বইয়ের লেখক ও যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ কোর্টনি ডি’অ্যাঞ্জেলোর মতে, “ওজন কমানোর লক্ষ্য পূরণে এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করার জন্য সেরা সবজি হল পালংশাক।”
ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “পালংশাক পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যা দেহ সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এটা ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। যা পেটের মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।”
পালংশাক আঁশ সমৃদ্ধ
ডি’অ্যাঞ্জেলোর মতে, পালংশাক ওজন কমানোর জন্য আদর্শ সবজি।
তার কথায়, “এটা কম ক্যালরি এবং উচ্চ আঁশবহুল সবজি। ফলে এই শাক খাওয়া পেট ভরা রাখে এবং বাড়তি খাবারের আকাঙ্ক্ষা কমায়। আঁশ হজমে সহায়ক এবং খাবার শোষণে সহায়তা করে, যা বিপাক বাড়াতে ভূমিকা রাখে।”
উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ
পালংশাকে আঁশ ছাড়াও রয়েছে প্রোটিন। রান্না করা এক কাপ পালংশাকে প্রায় পাঁচ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় যা কাঁচার তুলনায় বেশি। তাই বিশেষজ্ঞরা রান্না করে শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ডি’অ্যাঞ্জেলোর মতে, “পালংশাকের প্রোটিন চর্বি কমায়, পেশি গঠনে সহায়তা করে, আঁশের মতো পেট ভরা রাখে। দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা মিটাতে ও পেট সমতল রাখতে পালংশাক খাওয়া উপকারী।”