স্টাফ রিপোর্টার : দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। সবশেষ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সাথে চলছে শনাক্তও। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৮৫ জন।
সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। চলতি বছরের জুনের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎই বাড়তে শুরু করে দেয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৮৫ জন। যা রোববার ছিল ১ হাজার ৮৯৭ জন। আগেরদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুইজন মারা গেছেন। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, নতুন ১২ জনসহ দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৭৪ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ১৩ হাজার ৮২৮টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৩ হাজার ৮৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সবশেষ করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৪২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮ হাজার ৭৭৯ জন।
এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে ৬টি নির্দেশনা দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চলাচল ও সার্বিক কার্যাবলীর ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা জারি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এছাড়াও দেশে হঠাৎ করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবাইকে মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুতই সংক্রমণশীল। একজন আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে ১০ জন সংক্রমিত হতে পারে। সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হচ্ছে, প্রচলিত যে টিকা নিচ্ছি, সেটাকে অতিক্রম করে আক্রান্ত করছে সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফোর এবং বিএফাইভ। তার মানে, করোনার টিকাগুলো সাব ভ্যারিয়েন্টের ওপর কোনো কাজই করে না। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।