Search
Close this search box.

বাজারে খোলা সয়াবিন বিক্রি বন্ধ ৩১ জুলাইয়ের পর

বাজারে খোলা সয়াবিন বিক্রি বন্ধ ৩১ জুলাইয়ের পর
মলয় বিকাশ দেবনাথ : 

তেলের বাজার তেলতেলে করতে সরকার নানামূখী পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। সাধারন মানুষের ভোগান্তি দূর করতে এবং বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটি’ তৃতীয় বৈঠকে বসে। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, এফবিসিসিআই আর ভোজ্যতেল ও চিনি পরিশোধন কারখানা সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ৩১ জুলাইয়ের পর বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারদর কমলে দেশের বাজারে কখনও কমেনা বলে যে কথিত আছে সেদিকে কড়া নজর দেয়া হবে। এ জন্য ১৫ দিন পরপর সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে সরকার এবং বাজার মনিটরিং করবে।

স্থানীয় পর্যায়ে নিত্যপণ্য উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে বৈঠকে। পেঁয়াজের আমদানি অনুমতিপত্র (আইপি) বজায় রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে, যাতে ভারতসহ পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশগুলো রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা না হয়।

ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রেও শুধু সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর নির্ভর না করে সূর্যমুখী, সরিষা ও রাইসব্র্যান তেল উৎপাদনের তাগিদ দেওয়া হয়। বৈঠকে দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্ত কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। বুধবার থেকে হ্রাসকৃত মূল্যে (১৮৫ টাকা লিটার) সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে কি না, সেটি তদারকি করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়া ২০২০-২১ এবং ২১-২২ অর্থবছরে চিনি, সয়াবিন ও পাম তেলের ঋণপত্র (এলসি) খোলা ও নিষ্পত্তির চিত্র তুলে ধরা হয়।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশীয় বাজারে বাড়ে, কিন্তু কমলে আর কমে না, এমন ধারণা আমরা ভেঙে দিয়েছি ভোজ্যতেল দিয়ে। আগামী মাসে এ ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় নিয়ে আবার বৈঠক হবে। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের বিষয়ে এফবিসিসিআই সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।’

এ বিষয়ে ঢাকার বাসিন্দা মোঃ আল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যারা স্বল্প আয়ের মানুষ, আমাদের জন্য বোতলজাত তেল কেনা কষ্টকর। তবে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে বাজারদর স্বাভাবিক রাখতে পারলে আমরা ন্যায্য মূল্যে দ্রব্যাদি কিনতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ