স্টাফ রিপোর্টার : ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সম্পর্ক নেই গ্রামীণ ব্যাংকের এমনটা জানিয়েছেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ। ড. ইউনূসের বলয় থেকে বের হয়ে এসেছে গ্রামীণ ব্যাংক, এখন আগের চেয়ে সব সূচকে ব্যাংকটির অবস্থান ভালো।
এক সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল মজিদ বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে ড. ইউনূসের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান শুধু একজনের থাকে না। এখানে অনেকেই যুক্ত থাকেন। সবচেয়ে অবিশ্বাসযোগ্য হলেও সত্য যে ড. ইউনূসকে ছাড়াই গ্রামীণ ব্যাংকের ইতিহাসে আমরা সবচেয়ে বেশি মুনাফা লাভ করেছি। সুতরাং ইউনূসকে ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক চলবে না। একথা ভুল প্রমাণিত হলো।
ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায়, গ্রামীণ ব্যাংক ও তার প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ২০১১ সালের পর থেকে এখন ব্যাংকটির কোনো পদে নেই এই নোবেল বিজয়ী।
তবে, এই সময়ে ড. ইউনূস ও ব্যাংকটির পরিচালনা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। ব্যাংকটির হাল-হকিকত জানাতে, এক দশক পর সংবাদ সম্মেলন করলো, পরিচালনা পর্ষদ। এতে চেয়ারম্যান দাবি করেন, ড. ইউনূসের বলয় থেকে বেরিয়ে এসেছে, গ্রামীণ ব্যাংক। যে কোনো সূচকে আগের চেয়ে এখন অবস্থান ভালো।
করোনার মধ্যেও ২০২০ সালে সর্বোচ্চ প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা মুনাফা করেছে ব্যাংকটি। জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য সংখ্যা এখন ১ কোটি। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ক্ষুদ্র ঋণের পাশাপাশি ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বের করে স্বাবলম্বী করতে উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক। এখন থেকে দেশজুড়ে বনায়ন কর্মসূচিও চালাবে প্রতিষ্ঠানটি।